স্পোর্টস ডেস্ক : চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা একই অবস্থা। যখনই মনে হয় এই বুঝি টেস্টটাকে শক্ত মুঠিতে নিল বাংলাদেশ তখনই তাদের সবকিছু তালগোল পাকিয়ে যেতে থাকে। এই যেমন দারুণ এক শুরুর পর ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসও তালগোল পাকানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। তা এড়ানো গেলে ভালো। নইলে সমুহ বিপদ। ৬৫ রানের দ্রুতগামী উদ্বোধনী জুটির পর ৩ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই রিপোর্ট লেখার সময় দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ১০৯ রান বাংলাদেশের। লিড ৮৫ রানের। ইমরুল কায়েস ৩৬ ও মাহমুদ উল্লাহ ২৭ রানে ব্যাট করছেন।
১৪৪ রানে ইংল্যান্ডের ৮ উইকেট তুলে নিয়েও শেষ পর্যন্ত অল আউট করা গেছে ২৪৪ রানে। ২৪ রানের লিড নেয় তারা। কিন্তু শনিবার শেষ সেশনের শুরুতে ৫.১ ওভারেই লিড নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। তামিম ও ইমরুল বেশ ঝড়ের মতো খেলছিলেন। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান তামিম ছিলেন বেশি আগ্রাসী। ৫৫ বলেই ৫০ রানের জুটি হয় তাদের। কিন্তু ৪৭ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪০ রান করে জাফর আনসারির ক্যারিয়ারের প্রথম শিকার হন তামিম। তখন দলের রান ৬৫, ১২.৫ ওভারে। পরের ওভারের প্রথম বলেই বেন স্টোকসের বল স্লিপে অ্যালিস্টার কুকের হাতে তুলে দিয়ে ফেরেন টেস্ট বিশেষজ্ঞ মুমিনুল হক। দ্বিতীয় বলেই আউট মুমিনুল। চাপেই পড়ে বাংলাদেশ।
এর আগে টেইল এন্ডারদের দাপটে লিড নিলেও সেটি বড় করতে পারেনি সফরকারী ইংল্যান্ড। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ২৪৪ রানে গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা। তাতে প্রথম ইনিংসে ২৪ রানের লিড দাঁড়ায় তাদের। চট্টগ্রামের মতো এখানেও প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
শনিবার প্রথম সেশনে ৫ উইকেট নেয় বাংলাদেশ। অফ স্পিনার মেহেদী আবার ৫ উইকেট পেয়েছেন ততক্ষণে। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টেই ইনিংসে ৫ উইকেট তার শিকার। সকালে মূল্যবান ৩ উইকেট তার। ২ উইকেট বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের। তাতে ৮ উইকেটে ১৬৩ রানে লাঞ্চে যায় ইংল্যান্ড। ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ দলকে টেনে নিয়ে লিড এনে দিলেন। ইনিংস সর্বোচ্চ ৯৯ রানের নবম উইকেট জুটি গড়েছেন তারা। ওকস ৪৬ রান করে মেহেদীর ষষ্ঠ শিকার হয়েছেন। আদিল ৪৪ রানে অপরাজিত থেকেছেন। ৮২ রানে ৬ উইকেট মেহেদীর। ৬৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। আর সাকিব আল হাসানের শিকার ১ উইকেট।