স্পোর্টস ডেস্ক : ১ উইকেটে ১৭১। স্কোরটা কত ভালোই না লাগছিল দেখতে। সেটাই এখন ৬ উইকেটে ২০৫! চা বিরতিটা একদমই ভালো কাটবে না বাংলাদেশের।
মাত্র ১ রানে ইমরুলকে হারিয়ে ফেলার ধাক্কা কী দারুণভাবেই না সামলে দিয়েছিলেন তামিম-মুমিনুল। দুজনের ১৭০ রানের জুটিটায় ইংল্যান্ডকে লাগছিল অসহায়। সেঞ্চুরির পর পরই তামিমের বিদায়ের পর শুরু হলো বিপর্যয়। মাত্র ৩১ রানের মধ্যে পড়ে গেল ৫ উইকেট!
১৪ ওভার ২ বলের মধ্যে ঘটা এই বিপর্যয়ে মূল আঘাত হেনেছেন মঈন ও স্টোকস। ৩ উইকেট মঈনের, দুটি স্টোকসের। শেষ ভরসা হয়ে ৫ রানে অপরাজিত সাকিব। সঙ্গে আছেন শুভাগত হোম (২)।
বাংলাদেশ দলের শুরুটাই হয়েছিল ধাক্কা দিয়ে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে উচ্চাভিলাষী এক শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন ইমরুল কায়েস। ক্রিস ওকসের বলে কাট করতে গিয়ে ডাকেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ইমরুল। দলের রান তখন মাত্র ১। মেঘলা আকাশে ভয়ংকর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ইংলিশ পেসাররা। তামিমকেও স্বচ্ছন্দ মনে হচ্ছিল না।
কিন্তু ২০তম বলে রানের খাতা খোলার পর থেকে ধীরে ধীরে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তামিম। অন্যপ্রান্তে মুমিনুলও দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন। কিন্তু ১৪৭ বলে এক ডজন চারে খেলা ১০৪ রানের ইনিংসটা থেমে গেল।
যেভাবে অবলীলায়-অনায়াসে খেলছিলেন, মনে হচ্ছিল আরও বহুদূর পথ পাড়ি দেবেন। কিন্তু অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরিটাকে লম্বা করতে পারলেন না তামিম। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারলেন না।
এর আগে দুটি রিভিউ নেওয়া হয়েছিল দুই দল মিলে। দুবারই সিদ্ধান্ত গেছে তামিমের পক্ষে। সে ভেবেই হয়তো তামিম একটা সুযোগ নিয়ে দেখতে চেয়েছেন। না হলে পরিষ্কার আউটই ছিল এটি।
তামিম ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরলেন মুমিনুলও (৬৬)। যাওয়া-আসার মিছিল শুরু হলো। স্টোকসের বলে খোঁচা দিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিলেন মাহমুদউল্লাহও (১৩)। মাথার হেলমেটে স্টোকসের মারাত্মক বাউন্সার সামলে উইকেটে থেকে গেলেও একটু পরে ফিরলেন ৫০তম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিক (৪)। উইকেট মঈনের। কৃতিত্ব অবশ্যই স্টোকসের সেই বাউন্সার আর লেগ স্লিপে কুকের দুর্দান্ত ক্যাচের।
গত ম্যাচে অভিষেকে নজর কাড়া সাব্বির এবার টেস্ট ক্রিকেটের কঠিনতম দিক দেখে ফেলে ফিরলেন শূন্য রানে। তিনিও স্টোকসের বলে ক্যাচ দিলেন পেছনে।
আর এতেই বৃথা গেল বাংলাদেশের শুরুটা। বিশেষ করে তামিম-মুমিনুলের অসাধারণ জুটি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেকোনো উইকেটেই এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জুটি। টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে একাদশ বৃহত্তম। দ্বিতীয় উইকেটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ। যেকোনো দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম।
উইকেটের যা অবস্থা, তাতে প্রথম ইনিংসে ৩০০ যথেষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ আড়াই শ পেরোয় কি না, সেটাই এখন সংশয়ে।