প্রাথমিক শিক্ষা খুলনা বিভাগীয় দপ্তরের সূত্র জানায়, বিভাগের ১০ জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে ৬ হাজার ৫৪৮টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ৫ হাজার ১১৫ জন। আর শূন্যপদ রয়েছে ১ হাজার ৪৩৩টি। এর মধ্যে খুলনা জেলায় শূন্য রয়েছে ১০৮টি, বাগেরহাটে ১২১, সাতক্ষীরায় ২১৭, যশোরে ৩০০, ঝিনাইদহে ১৮৩, মাগুরায় ১৩৬, কুষ্টিয়ায় ১৬৫, চুয়াডাঙ্গায় ১২৮, নড়াইলে ৩২ ও মেহেরপুরে ৪৩টি প্রধান শিক্ষকের পদ। অন্যদিকে বিভাগে সহকারী শিক্ষকের ৩১ হাজার ৬০৬টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ২ হাজার ৬৩১টি পদ।
ফলে ব্যাহত হচ্ছে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম, যা নিয়ে ক্ষোভ কাজ করছে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে।
এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক কুমার সমদ্দার বলেন, ‘সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাড়তি চাপের মধ্যে থাকেন। ফলে প্রধান শিক্ষকবিহীন বিদ্যালয়গুলোয় পরিপূর্ণ শিক্ষাদান ব্যাহত হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় ৩৫ শতাংশ নতুন ও ৬৫ শতাংশ শিক্ষক পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু চার বছর ধরে পদোন্নতি বন্ধ থাকায় জেলার শিক্ষক সংকট চরমে পৌঁছেছে। ফলে প্রতি বছরই শিক্ষকরা অবসরে গেলেও তাদের শূন্য পদগুলো পূরণ হচ্ছে না।’
খুলনা বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা উপপরিচালক একেএম গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অবস্থাই নাজুক। ৮ হাজার ৫৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রধান শিক্ষক ছাড়া চলছে ১ হাজার ৪৩৩টি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী সুপারিশ ও তথ্যও পাঠানো হয়েছে। ফলে শিগগিরই এ সংকটের অবসান হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।