স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্টে টসে জিতে একটি পরিবর্তন নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১ রানে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শুরুতে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেন তামিম ও মুমিনুল। আর এই দুজনের ব্যাটে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ১১৮ রানের একটি স্বস্তিদায়ক স্কোর গড়ে লাঞ্চে যায়। তামিম ৬৮ ও মুমিনুল ৪৪ রানে ব্যাট করছেন।
এদিকে তামিম ইকবালের প্রিয় প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। সেটি ঢাকা টেস্টের প্রথম সকালেই প্রমাণ করলেন আরেকবার। বাংলাদেশের এই ড্যাশিং বাঁ হাতি ওপেনার আরেকটি ফিফটি তুলে নিয়েছেন ইংলিশদের বিপক্ষে। এটি তামিমের ক্যারিয়ারের ২০তম ফিফটি। এবার তার ফিফটি এসেছে মাত্র ৬০ বলে। আর মিরপুরে তার ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে দারুণ শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ।
১৫তম ওভারের শুরুতেই ফিফটি তুলে নেন তামিম। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ টেস্টে এখন ৬ ফিফটি তার। আছে দুটি সেঞ্চুরি। এই ৬ ম্যাচের প্রতিটিতে অন্তত একটি ফিফটি আছে তামিমের। চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে খেলেছিলেন ৭৮ রানের লড়াকু ইনিংস। এবারো প্রথম ইনিংসে ফিফটি। তবে আগেরটির চেয়ে দাপুটে। টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই সবচেয়ে বেশি সফল তামিম। এদিন তৃতীয় ওভারে ইমরুল কায়েস (১) দলের ১ রানের সময়ই বাজে শট খেলে আউট হয়েছেন। তারপর মুমিনুলের সাথে নতুন করে শুরু তামিমের। কিন্তু আক্রমণাত্মক খেলায় দ্রুত মুমিনুলকে পেছনে ফেলেছেন তামিম। তার ফিফটিতে বাউন্ডারির মার ৭টি।
গেল ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টি হয়েছে বেশ। তারপরও নির্দিষ্ট সময়ে টস হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ এই টেস্টের টস জিতে মুশফিকুর রহিম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি মুশফিকের ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্ট। বাংলাদেশের মাত্র তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট খেলার হাফ সেঞ্চুরি হলো তার। চার স্পিনার খেলাচ্ছে বাংলাদেশ। এক পেসার। অফ স্পিনার শুভাগত হোম ঢুকেছেন একাদশে।
প্রায় ১৫ মাস পর চট্টগ্রামে টেস্ট খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দারুণ খেলেছে তারা। ইংল্যান্ডকে ম্যাচটায় হারাতেও পারত। কিন্তু টানটান উত্তেজনার ম্যাচে শেষে ২২ রানে হেরেছে টাইগাররা। তবে ওখান থেকে ভালো খেলার আত্মবিশ্বাস নিয়েই ঢাকা টেস্ট শুরু করেছে তারা।