আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রচার মাধ্যমের বেশির ভাগ খবরই যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে নেতিবাচক। মিডিয়া রিসার্চ সেন্টারের গবেষণায় দেখা যায়, ১২ সপ্তাহ ধরে সম্প্রচার মাধ্যমগুলো দিনের গুরুত্বপূর্ণ সময় সন্ধ্যায় যে খবর প্রকাশ করেছে তাতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বৈরী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে।
এ কারণেই ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, গণমাধ্যম তার ব্যক্তিগত কেলেংকারি, যেমন নারীদের প্রতি তার আচরণ এবং যৌন হেনস্তাকে নিয়ে বেশি ফোকাস করছে। সে তুলনায় ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কেলেংকারিকে সামনে আনেনি গণমাধ্যমগুলো।
গবেষণায় বলা হয়, গণমাধ্যমগুলো হিলারির নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া কিংবা ইমেইল কেলেংকারি নিয়ে এফবিআইর তদন্ত সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও তাতে রিপোর্টারদের হিলারির প্রতি সম্মানজনক সুর পরিলক্ষিত হয়েছে। অন্যদিকে ট্রাম্পকে আতংকের রাজনীতি, বিপজ্জনক, অশ্লীল, বেহায়া ইত্যাদি শব্দের মাধ্যমে ঘায়েল করা হয়েছে।
রিপাবলিকান ঘেঁষা মিডিয়া রিসার্চ সেন্টার জানায়, তারা এবিসি, সিবিএস ও এনবিসি টেলিভিশনে ২৯ জুলাই থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রচারিত ৫৮৮টি সান্ধ্য খবর পর্যালোচনা করেছে- যেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার কথা বলা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ট্রাম্প হিলারির চেয়ে অনেক বেশি কাভারেজ পেয়েছেন ট্রাম্প, তবে তা ছিল নেতিবাচক।
তবে অনেক রাজনৈতিক পণ্ডিত মনে করছেন, মিডিয়া কাভারেজের কারণেই ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। ট্রাম্প নিরবচ্ছিন্নভাবে গণমাধ্যমের সমালোচনা করে আসছেন এবং বলেছেন, গণমাধ্যমগুলো তার সম্পর্কে মার্কিন ভোটারদের মন বিষিয়ে তুলেছে।
ট্রাম্প সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের মধ্যে যারা কোনো প্রধান দলের প্রেসিডেন্ট প্রচারণার জন্য অর্থ সহায়তা দিয়েছেন, তাদের ৯৬ ভাগই দিয়েছেন হিলারিকে।
ট্রাম্প এবং তার সহযোগীরাও বিশেষ কিছু সাংবাদিকের অন্যায্য কাভারেজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এর মধ্যে আছেন ফক্স নিউজের মেগিন ক্যালি। তাকে ‘সেক্স নিয়ে বিমোহিত’ বলে তিরস্কার করা হয়েছে। মূলধারার গণমাধ্যমের প্রতি বিরক্ত হয়ে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির সম্প্রতি ফেসবুকে লাইভ শো চালু করেছে।
এমন কথাও বলা হচ্ছে যে, পরাজিত হলে ট্রাম্প টিভি নেটওয়ার্ক চালু করবেন। গত সপ্তাহে ট্রাম্প ফ্লোরিডায় এক সমাবেশে অভিযোগ করেছেন, হিলারি শিবির সবচেয়ে শক্তিশালী যে অস্ত্র মোতায়েন করেছে তা হচ্ছে কর্পোরেট মিডিয়া বা গণমাধ্যম।