৩১শে অক্টোবর, ২০১৬ ইং, সোমবার ১৬ই কার্তিক, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ


আরেকটি বিশ্ব যুদ্ধের সূচনা করবেন হিলারি! কিভাবে?


Amaderbrahmanbaria.com : - ২৮.১০.২০১৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমেরিকার কাদের সাথে সুসম্পর্ক করা উচিত? যেখানে সবাই পারমাণবিক যুদ্ধের ভয়ে দিন কাটায় ও যখন এই ক্ষমতাসম্পন্ন মহাশক্তিগুলো একে অপরের সাথে বিতর্কে লিপ্ত। হ্যাঁ, রাশিয়া। তাদের সাথেই সুসম্পর্ক বিশ্ব শান্তির পথ সহজ করতে পারে।
ঠিক এইখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার চালাক, চতুর, কূটনীতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমক্রেটদের ছাড়িয়ে গেছেন। কারন উনি জানেন যে নৈতিক চিন্তাধারাকে সরিয়ে বৈদেশিক নীতিকে প্রাধান্য দিয়ে ‘শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু’ নীতিতে বিশ্বাস করে কাজ করলে শুধু শান্তিই নয় বরং সহযোগিতা, জোটবদ্ধ হওয়াও সম্ভব রাশিয়ার সাথে।
গত কয়েক দশক ধরে রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি ‘ইসলামি জঙ্গিবাদ’ ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করছে। কিন্তু আক্ষরিক অর্থে এ ব্যাপারে তারা চেচনিয়া ও তার আশেপাশের বিছিন্নতাবাদীদের উল্লেখ করে। ডোনাল্ড ট্রাম্পই একমাত্র প্রেসেডেন্সিয়াল প্রার্থী যিনি জর্জ বুশ থেকেও এগিয়ে, যে কিনা এই আহ্বানকে গুরুত্ব দিচ্ছে। যদিও তার সর্বাধিক মনোযোগ ইসলামি জঙ্গিবাদকে ঘিরে এবং সেটা আরও পরিস্কার হয় যখন তিনি তার ভীতুমনা সমর্থকদের আশ্বাস দেন যে, সেটার ইতি হবে।
তো হিলারির খবর কি? উনি ট্রাম্পকে প্রায়ই তীক্ষ্মভাবে লক্ষবস্তু বানান। উনি প্রায়ই ট্রাম্পকে রাশিয়ার পুতুল, ওনার বক্তৃতা নাকি রুশ ভাষা থেকে অনুবাদিত ইত্যাদি বলেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মত হিলারিও মনে করেন যে ওনার দায়িত্ব হচ্ছে ইউক্রেন, বালটিক এলাকাসমূহ ও ইউরপের অন্যান্য অংশে রুশ আগ্রাসন প্রহিহত করা। উনি ঠিক। এটা আমেরিকার এক ধরনের ঐতিহ্য বলা যায়। তবে উনি কিসিঞ্জারের নীতি অনুসরণ করে ভুল করেছেন যা ছিল জাতীয় স্বার্থকে বৈদেশিক নীতি থেকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া।
রনাল্ড রিগান, যাকে ট্রাম্প প্রতিনিয়ত অনুকরন করেন, উনি ছিলেন ভিন্ন। সে ছিল স্নায়ু যুদ্ধের সবচেয়ে নির্মম যোদ্ধা, যে কিনা সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ক্ষয় করেছেন ও অস্ত্র বৃদ্ধিতে বাধা দিয়েছেন, এবং সর্বশেষে ক্লান্ত মিখাইল গর্বাছেভের সাথে শান্তিচুক্তি স্থাপন করেন। রিগান প্রশাসন কোনভাবেই মানতে নারাজ ছিল রাশিয়ার আগ্রাসন, যেমন ধরা যাক আফগানিস্থান, উনি অর্থ ও সময় খরচ করে তাদেরকে আফগানিস্থান থেকে বের করেন।
আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ প্রতিহত করার একমাত্র উপায় হচ্ছে রাশিয়া যা চায় তা দিয়ে দেওয়া।
এটা ভাবা ভুল যে ডেমোক্রেটদের রাশিয়ার প্রতি নরম ভাবা। আরও বিস্তারিত বললে তারা ঝুঁকি নিয়ে হলেও তাদের সাথে সমঝোতা করবে। বারাক ওবামা, বিল ক্লিনটন, জিমি কার্টার ঠিক এমনই করেছেন। তবে কিছু কঠরতম স্নায়ুযোদ্ধা কিন্তু হিলারির পার্টি থেকে এসেছে। যারা কিনা রাশিয়াকে অনেক খারাপ দশক উপহার দিয়েছেন। ১৯৬২ সালে বিশ্ব প্রায় ধ্বংসের পথে যাচ্ছিলো যখন আমেরিকা ও রাশিয়া কিউবায় মিসাইল সংকট নিয়ে ১৩ দিন মুখোমুখি অবস্থানে ছিলো।
কিউবার সংকটের মতো আবার কিছু একটা হতে পারে প্রেসিডেন্ট হিলারির শাসনামলে।
এখন চূড়ান্ত ফলাফল ৮ নভেম্বর দেখা যাবে যে, আমেরিকার ভাগ্যে কি আছে।আস





Loading...


প্রকাশকঃ মোঃ আশ্রাফুর রহমান রাসেল
সম্পাদক : বিশ্বজিত পাল বাবু
চেয়ারম্যান : আলহাজ্ব নুরুজ্জামান
ঠিকানা : ৬০৩ ফুলবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
email : [email protected] (news)
Phone: +880851 62307
+8801963094563


close