শিক্ষার্থীদের ‘র্যাগিং’ বিষয়ক এক ফেইসবুক পোস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’ তথ্য দেওয়ার অভিযোগে মামলার পর কাস্টমস কর্মকর্তা সুশান্ত পালের বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর
তাকে খুলনা থেকে রংপুরে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করা হয়েছে, অর্থাৎ নতুন কর্মস্থলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে যোগদান করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বদলির এই আদেশে একই সঙ্গে বলা হয়, “বদলি ও পদায়নকৃত কর্মকর্তাকে মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিশনারকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।”
সহকারী কমিশনার সুশান্ত ৩০তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম হয়ে শুল্ক বিভাগে যোগ দেন। ফেইসবুকে সক্রিয় সুশান্তের ‘ফলোয়ার’ সংখ্যা দুই লাখ ৩৯ হাজার।
গত সপ্তাহে সুশান্ত পাল তার ফেইসবুক পাতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষার্থীদের ওপর পুরোনোদের মানসিক নির্যাতন ‘র্যাগিং’ বিষয়ে ওই পোস্ট দেন।
গল্পের আদলে দেওয়া পোস্টটিতে দেখানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষার্থীদের ‘র্যাগিং’ দিতে গিয়ে যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনায় জড়িয়ে পড়ছে।
শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার পর ক্ষমা চেয়ে ওই পোস্টটি সরিয়ে নেন সুশান্ত।
সরকারি এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোতাকাব্বির খান প্রবাস।
এতে অভিযোগ করা হয়, প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হয়ে সুশান্ত পাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের শীর্ষ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ তথ্য ছড়িয়েছেন। তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক পাতার একটি ‘বিদ্বেষমূলক’ লেখায় হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে হেয় করা হয়েছে।
ওই মামলার পরপরই এনবিআর সংস্থার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিল।