ডেস্ক রিপোর্ট: টিভির পর্দায় মেয়েদের চোখের জল ফেলতে দেখা যায়। সাধারণভাবেও প্রতিটি মানুষের অভিজ্ঞতাও তাই বলে। কিন্তু সত্যিটা কী?
না, সিনেমা বা মেগা সিরিয়াল অন্তত এই ব্যাপারে মিথ্যা বলে না। কথায় কথায়, মেয়েরা কাঁদছে এমনটা দেখানো একেবারেই মিথ্যা নয়। কারণ, গবেষণাই বলছে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় বেশি কাঁদে। শুধু বেশি নয়, অনেকটা বেশি।
গবেষণায় যে তথ্য মিলেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এক জন মহিলা বছরে ৩০ থেকে ৬৪ বার কাঁদেন। সেই জায়গায় পুরুষের চোখের জল ফেলার সংখ্যাটা বছরে ৬ থেকে ১৭। এখানেই শেষ নয়, মেয়েদের কান্না ছেলেদের থেকে দীর্ঘ সময়ের হয়। মেয়েরা একবার কাঁদলে গড়ে ছ’মিনিট চোখের জল পড়তে থাকে। সেখানে পুরুষের কান্নার আয়ু দুই থেকে তিন মিনিট।
এই গবেষণাটি করেছেন নেদারল্যান্ডস-এর টিনবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট অ্যাড ভিঙ্গারহোয়েটস। এ নিয়ে তাঁর একটি বইও রয়েছে। সেটির নাম— ‘হোয়াই অনলি হিউম্যানস উইপ: আনর্যাভেলিং দ্যা মিস্ট্রিজ অফ টিয়ারস।’ এই গবেষণার জন্য তিনি ৩৭টি দেশের পাঁচ হাজার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।
সেই কথা বলার সূত্রেই তিনি জানতে পারেন, পুরুষেরা ৬৬ শতাংশ ক্ষেত্রে পাঁচ মিনিটের কম সময় কাঁদেন। বাকি ২৪ শতাংশ ৬ থেকে ১৫ মিনিট। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪৩ শতাংশ কাঁদেন ৫ মিনিটের কম। বাকি ৫৭ শতাংশের কাঁদার গড় সময় ৬ থেকে ১৫ মিনিট।
এখানেই শেষ নয়। ওই গবেষণা বলছে, মাত্র ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, পুরুষ ১৫ মিনিটের বেশি কাঁদছেন। কিন্তু এই সংখ্যাটা মেয়েদের ক্ষেত্রে দ্বিগুণেরও বেশি। ১১ শতাংশ মহিলা একবার কাঁদলে ১৫ মিনিটের আগে থামেন না।