নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ডিএপি সার কারখানার আশপাশ থেকে বাতাস ও পানির নমুনা সংগ্রহ করে তাতে মাত্রাতিরিক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাসের উপস্থিতি পেয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।
অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, অ্যামোনিয়া ট্যাংক বিস্ফোরণের ঘটনায় পরিবেশ অধিদফতরের গবেষণাগারের সিনিয়র কেমিস্ট মো. কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ওইসব নমুনা সংগ্রহ করে। আজ বুধবার ওইসব নমুনা পরীক্ষা করে রাতে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে প্রতিবেদনটি ঢাকায় পরিবেশ অধিদফতরে পাঠানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জলজ প্রাণি বাঁচার জন্য পানিতে যে পরিমাণ অক্সিজেন থাকার কথা তা নেই ডিএপি কারখানার আশপাশের পুকুরে। আবার বাতাসে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে প্রায় চারগুণ অ্যামোনিয়া গ্যাস আছে এখনো।
এতে আরও বলা হয়, পানিতে অ্যাসিডিটির স্বাভাবিক মাত্রা ৬ দশমিক ৫ থেকে ৮ দশমিক ৫ থাকার কথা থাকলেও পরীক্ষায় ডিএপি কারখানার পূর্ব ও উত্তর পাশের দুটি পুকুরে অ্যাসিডিটি পাওয়া গেছে যথাক্রমে ৯ দশমিক ৯৪ ও ৮ দশমিক ৫৪। একই পয়েন্টে পানির দ্রবীভূত অক্সিজেন ও রাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদা নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। দ্রবীভূত অক্সিজেনের স্বাভাবিক মাত্রা ৪ দশমিক ৫ থেকে ৮ দশমিক ৫ থাকার কথা থাকলেও পাওয়া গেছে মাত্র ১ দশমিক ৩৯ ও ৪। আবার রাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদার স্বাভাবিক মাত্রা ২০০ এর কম থাকার কথা থাকলেও তা পাওয়া গেছে যথাক্রমে ৩২৪ ও ২৬৪। পানিতে অ্যামোনিয়া গ্যাস মিশ্রিত হওয়ায় কাঙ্খিত মাত্রায় পাওয়া যায়নি বিভিন্ন উপাদান। এ কারণে ডিএপি কারখানার আশপাশে মরে যাচ্ছে মাছ, সাপসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী। পরিবেশ অধিদফতরের গবেষক দল ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক ১৭০ মিটার উত্তর-পশ্চিমে High Volume Sampler স্থাপন করে বাতাসের নমুনা (অ্যামোনিয়া) সংগ্রহ করে। সংগৃহিত নমুনা বিশ্লেষণে ৮ ঘণ্টায় গড় অ্যামোনিয়া পাওয়া যায় ৯২ পার্টস পার মিলিয়ন (পিপিএম)। স্বাভাবিকভাবে যা থাকার কথা ২৫ পিপিএম।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে আনোয়ারায় ডিএপি সার কারখানায় অ্যামোনিয়া ট্যাঙে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে এবং গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এতে অর্ধশতাধিক লোক অসুস্থ হয়ে পড়েন। কালের কণ্ঠ