২৪শে আগস্ট, ২০১৬ ইং, বুধবার ৯ই ভাদ্র, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
  • প্রচ্ছদ » slider 2 » সরকারের পরবর্তী টার্গেটে ১০৮ বিএনপি নেতা!


সরকারের পরবর্তী টার্গেটে ১০৮ বিএনপি নেতা!


Amaderbrahmanbaria.com : - ২০.০৮.২০১৬

বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আত্মগোপনে থেকে অনেকে দলের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এরই মধ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল ককবির রিজভী আহমেদকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গ্রেপ্তারের তালিকায় অনেক সিনিয়র নেতা রয়েছেন। সরকারের গ্রিন সিগনাল পেলেই তাদের গ্রেপ্তার করবে পুলিশ।
সিনিয়র নেতাদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, গাজীপুর সিটি মেয়র এম এম মান্নান, বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসলাম চৌধুরী। এছাড়া থানা ও জেলা পর্যায়ের অনেক সিনিয়র নেতা কারাগারে রয়েছেন। পাঁচ মামলায় মোট গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হলেন ১০৮ জন।
রাজধানীর মতিঝিল থানার বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
১৮ আগস্ট গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামরুল হোসেন মোল্লা মামলা দুটির অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
এদিন মতিঝিল থানার মামলায় ৯৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার ধার্য তারিখে সেলিমাসহ ৬৭ জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন মারুফ কামাল খান সোহেল, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শিরিন সুলতানা, মীর সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, কাইয়ুম কমিশনার, লতিফ কমিশনার প্রমুখ। হরতাল-অবরোধ চলাকালে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারিতে আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
এদিকে পল্টন থানার মামলায় পরোয়ানাপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য অন্যরা হলেন জাতীয়তাবাদী যুব দলের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম নিরব, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু ও শফিউল বারী বাবু। মামলায় ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসানসহ ১৪ জন জামিনে রয়েছেন। গত বছরের ১১ জানুয়ারি বিএনপির হরতাল-অবরোধ চলাকালে পল্টন থানাধীন হোটেল অর্চাড এর সামনে ভিআইপি রোডে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পল্টন থানায় এ মামলাটি করে পুলিশ।
রাজধানীর দারুস সালাম থানায় দায়ের করা নাশকতার পাঁচ মামলায় বিএনপির যুগ্মমহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
১০ আগস্ট বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে বিচারক আগামী ১০ অক্টোবর গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
এই মামলায় পরোয়ানাভুক্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সফু, মারুফ কামাল খান সোহেল ও সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া। ২০১৫ সালে বিএনপির হরতাল-অবরোধ চলাকালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে এ মামলাগুলো করে পুলিশ। ২০১৬ সালের প্রথমদিকে দারুস সালাম থানার পুলিশ আসামিদের পলাতক দেখিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

রাজধানীর পল্লবী থানায় করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কিবর রিজভীসহ নয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ২৬ জুলাই সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রুহুল আমিন মামলাটির অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এই আদেশ দেন। আদালত আগামী ২৩ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন।
আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মিয়া আত্মসমর্পণ করে সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে জামিন নেন।
আদালত সূত্র বলেছে, গত বছরের ২৭ জানুয়ারি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে পল্লবী থানার পুলিশ এ মামলা করে। পুলিশ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৩ মে রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্রে ১০ জনকে পলাতক দেখিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে পুলিশ।
এ মামলায় সাতজন জামিনে ছিলেন। গতকাল রফিকুল ইসলাম মিয়া জামিন নেন। আদালত রুহুল কবির রিজভীসহ বাকি নয়জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
সকল মামলায় জামিনে থাকা সত্ত্বেও কারাগার থেকে সদ্য মুক্তি পাওয়া ঢাকা মহানগর দারুস সালাম থানা বিএনপি সভাপতি মো: আবদুর রহমানকে ১৬ আগস্ট রাতে তার বাসা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।
নাটোরের সিংড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র শামিম আল রাজিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১৪ আগস্ট দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম এ আদেশ দেন। এরআগে আদালতে উপস্থিত হয়ে নাশকতা মামলায় জামিনের আবেদন করলে তার জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। শামিম আল রাজি সিংড়া পৌরসভার জয়নগর মহল্লার ডা. মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি পরিবহনে হামলা, ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
পরে সিংড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব হোসেন বাদী হয়ে পুলিশের কাজে বাধা ও মারধর এবং নাশকতার অভিযোগে একটি এবং পরিবহন মালিক রায়হান আলী বাদী হয়ে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে সিংড়া থানায় ২৮ জনকে আসামি করে আরো একটি মামলা করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক এমপি অধ্যাপক শাহজাহান মিয়াকে নাশকতার মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ৬ জুন দুপুরে জামিনের জন্য আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। বিস্ফোরক মামলায় জেলা ও দায়রা জজ মো. এনামুল বারী জামিন নামঞ্জুর করার পর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যাসহ অপর একটি মামলায় আত্মসমর্পণ করলে আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম একটি মামলায় জামিন মঞ্জুর এবং অপর মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
কুমিল্লায় ২০ দলীয় জোটের শরীকদল এলডিপি’র দায়ের করা মামলায় জোটের প্রধান শরীকদল বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। ২১ জুন কুমিল্লার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের দায়ের করা মামলায় শুনানি হয়।
মামলার প্রধান আসামি কুমিল্লা জেলা বিএনপি ও চান্দিনা উপজেলা বিএনপি সভাপতি খোরশেদ আলমসহ আরও তিন আসামি হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়নব বেগম।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কুমিল্লা জর্জ কোর্টের এপিপি এডভোকেট সহিদুল হক জানান, ২০১৪ সালের ৩০ আগস্ট চান্দিনায় এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের গাড়ি বহরে হামলা চালায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ওই দিনই ড. রেদোয়ান বাদী হয়ে বিএনপি সভাপতি খোরশেদ আলমসহ ২২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় খোরশেদ আলম উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করলেও গতকাল তিনি নিম্ন আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়।
কিশোরগঞ্জে নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ছয় নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২১ জুলাই আজ জেলা ও দায়রা জজ মাহবুব উল ইসলামের আদালতে তাঁরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত এ আদেশ দেন।
২০১৪ সালে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে মহাসড়কে নাশকতার অভিযোগে ভৈরব উপজেলার পাঁচজন এবং গত ইউপি নির্বাচনে কেন্দ্র দখলসহ সহিংসতার অভিযোগে করা এক মামলায় করিমগঞ্জ উপজেলার এক বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন আদালত। এই আসামি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ভৈরব পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, ভৈরব উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন, শিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল বাকের, হাজি আসমত কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম ও ভৈরব পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দামসহ বিএনপির নয়জন নেতা-কর্মী ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতে আজ বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মাহবুব উল ইসলাম চারজনের জামিন মঞ্জুর করলেও উল্লিখিত পাঁচজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া চলতি বছরের ৪ জুন ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলাকালে ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও সহিংসতার অভিযোগে করিমগঞ্জ উপজেলার দেহুন্দা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও দলীয় প্রার্থী তাজুল ইসলাম আজ জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মাহবুব উল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে করা একটি মামলায় কক্সবাজারে বিএনপির চার নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এর প্রতিবাদে মিছিল-সমাবেশ করেছে যুবদল ও ছাত্রদল। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা ওই মামলায় আত্মসমর্পণের জন্য ০৪ আগস্ট বিএনপি নেতারা কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল ইসলাম জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চার নেতা হলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম নুরুল বশর চৌধুরী, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ খান চৌধুরী, কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম কুতুবী এবং উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাহাদাত হোসেন।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা চৌধুরী ও সাহেবেরহাট ইউনিয়ন যুব দলের আহ্বায়ক মো. হেলালকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ১৬ আগস্ট দুপুরে ওই দুই নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ করেলে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ ড. একে এম আবুল কাসেম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুল আলম ও অ্যাডভোকেট মো. হাসিবুর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতার মামলায় নড়াইল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহরিয়ার রিজভি জর্জের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ৯ আগস্ট নড়াইল সদর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল আজাদ এ আদেশ দেন। গাইবান্ধায় জমিনের আবেদন করতে এসে বিএনপি নেতা কারাগারে।
নাশকতা মামলার আসামী গোবিন্ধগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছাইফুল ইসলাম (৩৫) কে জেলা কারাগরে পাঠাণো হয়েছে । গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচার জামিন না মঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন । ছাইফুল ইসলাম উপজেলার কোচার শহর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের রজ্জব আলীর ছেলে ।
গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সিএসআই রফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের আগে দিন রাতে গোবিন্ধগঞ্জ উপজেলার কোরশহর ইউনিয়নের হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় নাশকতা মামলা হয় । উক্ত মামলায় তিনি গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন, আবেদনের দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালতের বিচারক এএসএম তাশকিনুল হক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ।
পুলিশের দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় যশোর নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু ও নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান ধনিসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ২৬ জুলাই যশোর সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করলে বিচারক বুলবুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল আহম্মেদের (৪৬) জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ৩১ জুলাই দুপুরে গাইবান্ধা নিম্ন আদালতের বিচারক জয়নাল আবেদীন এ আদেশ দেন। এর আগে, সকালে নাশকতা মামলায় আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জামিনের আবেদন করেন তিনি। পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তুলসীঘাটে চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলাসহ একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে মুকুলের বিরুদ্ধে। সকালে আদালতে তিনি জামিনের আবেদন করেন।পরে বিচারক শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গাইবান্ধার গোবিন্ধগঞ্জ উপজেলায় নাশকতা মামলার আসামি বিএনপি’র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলামকে (৩৫) জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১৮ জুলাই তিনি উপজেলার সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সাইফুল উপজেলার কোচার শহর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের রজ্জব আলীর ছেলে।
বগুড়ার ধুনটে পুলিশের দায়েরকৃত বিস্ফোরক আইনের মামলায় মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ বিএনপি ও জামায়াতের ৭ নেতাকে কারাগারে প্রেরন করেছে আদালত। ২১ জুলাই বুধবার বিকেলে বগুড়ার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের আদেশ দেন। তারা হলেন, মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফিরোজ (৪৮), পৌর ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক নিয়ামুল তালুকদার (৩৭), কাদাই দাখিল মাদ্রাসার সুপার জামায়াত নেতা মোকসেদ আলী (৪৬), বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান (৫৫), যুবদল নেতা আল-আমিন (৩৮), হাওয়ার্ট (২৫) ও এলাঙ্গী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক সেলিম হোসেন (৩২)।
২০ জুন চট্টগ্রামের একটি আদালত চেক জালিয়াতির ৮টি পৃথক মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরিকে সোমবার কারাগারে পাঠিয়েছে। আদালত সুত্র জানায়, ব্যাংক চেক জালিয়াতির ৮টি পৃথক মামলায় পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করার পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেট আব্দুল কাদেরের আদালত এই রায় দেয়।
নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসলাম চৌধুরী ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় পূবলী ব্যাংক লি.এর মহানগর সিডিএ শাখা থেকে মোট ৩৬ কোটি ৮০লাখ টাকা উত্তোলন করেন। ব্যাংক ঋণ পরিশোধে তার দেয়া চেক প্রত্যাখ্যাত হলে এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় পৃথক ৮টি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ গত ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরিকে গ্রেফতার করে এবং পরে তার বিরুদ্ধে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সংগে আঁতাত করে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাষ্ট্রোদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়।





Loading...


প্রকাশকঃ মোঃ আশ্রাফুর রহমান রাসেল
সম্পাদকঃ জাবেদ রহিম বিজন

Amaderbrahmanbaria.com
email : [email protected] (news)
Phone: +880851 62307
+8801963094563



close