বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রেখা। তিনি বলিউডের চিরসবুজ আবেদনময়ী অভিনেত্রী হিসেবেও পরিচিত।
১৯৬৬ সালে তেলেগু রাঙ্গোলা রাত্নাম সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম বড় পর্দার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান রেখা। যদিও অভিনয় করার পূর্ব কোনো পরিকল্পনা তার ছিল না। শুধু পরিবারের আর্থিক সহযোগিতার জন্য কাজ করতে বাধ্য হন রেখা।
তারপর রেখার জীবনের বাঁক বয়ে যেতে থাকে নানা ভঙ্গিমায়। এক সময় অভিনয়কে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। অর্জন করেন অনেক যশ-খ্যাতি। তবে তার ক্যারিয়ার জীবনে অনেকবারই আলোচনা ও সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। রেখার জীবনের আলোচিত কিছু ঘটনা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।
রেখার জন্ম রহস্য : রেখার বাবা ছিলেন তামিল সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক জেমিনি গণেশন। মা তেলেগু অভিনেত্রী পুষ্পাবলী। কিন্তু জেমিনি কখনো পুষ্পাবলীকে বিয়ে করেননি। কারণ জেমিনির বিবাহিত স্ত্রী ছিলেন আলামেলু নামের এক মহিলা। যার কারণে ছোটবেলা থেকেই বাবার কাছ থেকে অবহেলিত হয়েছেন রেখা।
রেখার চুম্বন দৃশ্য : ১৯৬৯ সালে আনজানা সফর সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে রেখার। এ সিনেমার একটি দৃশ্যে বিশ্বজিৎ চুম্বন করেছিলেন রেখাকে। এই দৃশ্যটি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন সেন্সর বোর্ড। পরে গোটা বিষয়টি নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়। তারপর সিনেমাটির মুক্তি ১০ বছর পিছিয়ে যায়। তারপর ঐ চুম্বন দৃশ্য বাদ দিয়ে ১৯৭৯ সালে ‘দো শিকারী’ নামে সিনেমাটি মুক্তি পায়। ১৯৬৯ সালেই ‘লাইফ’ পত্রিকার এশিয়ান সংখ্যায় সেই চুম্বন দৃশ্যটি প্রকাশ পায়। যা নিয়ে তখন শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
রেখা-অমিতাভের প্রেমলীলা : বলিপাড়ার সবচেয়ে আলোচিত প্রেমের সম্পর্কের মধ্যে রয়েছে রেখা-অমিতাভের প্রেমের সম্পর্ক। তখন শোনা গিয়েছিল, অমিতাভ-রেখা নাকি বিয়েও সেরে ফেলেছেন। ঋষি কাপুর আর নিতু সিংহের বিয়ের পার্টিতে একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন অমিতাভ-রেখা। শুধু তাই নয়, তখন রেখার সিঁথিতে নাকি সিঁদুরও দেয়া ছিল। আর এ নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন রেখা।
রেখার কথিত বিয়ে : ‘ঘর’ সিনেমায় বিনোদ মেহরার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছিলেন রেখা। তারপর খবর রটে রেখা-বিনোদ নাকি গোপনে বিয়ে সেরে ফেলেছেন। যদিও রেখা বা বিনোদ কেউই কোনো দিন বিয়ের কথা স্বীকার করেননি। এও শোনা গিয়েছিল- বিনোদের মায়ের আপত্তির কারণেই নাকি রেখা-বিনোদ একসঙ্গে সংসার করতে পারেননি।
রেখার বিতর্কিত দৃশ্য : রেখা তার অভিনয় জীবনে অনেক বিতর্কিত দৃশ্যে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন। ১৯৮৬ সালে ‘উৎসব’ সিনেমায় শেখর সুমনের সঙ্গে রেখার ঘনিষ্ঠ দৃশ্যটি সাড়া ফেলেছিল। ১৯৯৬ সালে ‘খিলাড়িও কা খিলাড়ি’ সিনেমায় রেখা আর অক্ষয় কুমারের ‘ইন দ্য নাইট নো কন্ট্রোল’ গানের দৃশ্যায়নের বিরুদ্ধেও অশালীনতার অভিযোগ উঠেছিল।
রেখার স্বামীর আত্মহত্যা : অনেকজনের সঙ্গে রেখার বিয়ের খবর চাওর হলেও কাগজে কলমে একবারই বিয়ে করেছেন রেখা। ১৯৯০ সালে ব্যবসায়ী মুকেশ আগরওয়ালের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রেখা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- বিয়ের এক বছরের মধ্যেই মুকেশ আত্মহত্যা করেন। রেখা তখন আমেরিকায় ছিলেন। কিন্তু কেন তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন? অনেকে ধারণা করেন, একাধিক পুরুষের সঙ্গে রেখার সম্পর্কের কারণেই অভিমানী মুকেশ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। সিমি গ্রেবালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রেখা পরে বলেছিলেন, ‘তার জীবনে দুটি বিয়েই ব্যর্থ হয়েছে।’ একবার মুকেশের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয়বার কার সঙ্গে সাত পাকে বাধা পড়েছিলেন তা স্পষ্ট করেননি এই অভিনেত্রী।