স্পোর্টস ডেস্ক : ওয়ানডেতে প্রতিপক্ষকে ২৫০ রানের বেশি ব্যবধানে হারানোর কৃতিত্ব ছিল মাত্র চার দলের। পঞ্চম দল হিসেবে এই তালিকায় নাম লেখাল পাকিস্তান। কাল ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডকে ২৫৫ রানে হারিয়েছে আজহার আলীর দল। পাকিস্তানের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় জয়ের নতুন রেকর্ড। সপ্তম বৃহত্তম জয়।
সার্জিল খানের ১৫২ রানের ইনিংসের পাশাপাশি শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ নওয়াজের দুটি ফিফটিতে ৪৭ ওভারের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৩৭ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ২৩.৪ ওভারে মাত্র ৮২ রানে অলআউট আয়ারল্যান্ড। ১৪ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম। ১৬ মাস পর ওয়ানডে দলে ফেরা উমর গুল ২৩ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
আর তাতেই পাকিস্তান তাদের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড গড়ল। এর আগে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নর্দাম্পটনের সেই আলোচিত ম্যাচের পর ২০০০ সালে এশিয়া কাপে মুখোমুখি হওয়া ম্যাচে বাংলাদেশকে ২৩৩ রানে হারিয়েছিল তারা। সেটিই এত দিন ছিল পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় জয়।
এই প্রথম পাকিস্তান ওয়ানডেতে ২৫০ রানের ব্যবধানে জয় পেল। ওয়ানডের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডটিও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০০৮ সালে আইরিশদের ২৯০ রানে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। গত বছর আফগানিস্তানকে ২৭৫ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ২০১০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৭২ রানের জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে এটিই ওয়ানডেতে সবচেয়ে বড় জয়-পরাজয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা আরও দুবার ২৫০ রানের বেশি ব্যবধানে জয় পেয়েছে। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কাকে ২৫৮ রানে হারিয়েছিল প্রোটিয়ারা। গত বছর বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল ২৫৭ রানে। ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে গ্রুপ পর্বেই ছিটকে পড়ার মুখে থাকা ভারত বারমুডার বিপক্ষে তুলে নেয় ২৫৭ রানের বিশাল জয়। ভারতের সর্বোচ্চ ব্যবধানের এই জয়ও অবশ্য তাদের টিকিয়ে রাখতে পারেনি সেবার।
২৫৬ রানে জয়ের ঘটনা আছে দুটি। ভারত ২০০৮ এশিয়া কাপে হারিয়েছিল হংকংকে। ২০০৩ বিশ্বকাপে নামিবিয়াকে নাস্তানাবুদ করে অস্ট্রেলিয়া।এরপরই গতকাল পাকিস্তানের সেই জয়।