বৃহস্পতিবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১২ই আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

কলিন্দা গ্রাবার বিশ্বের সেরা যৌন আবেদনময়ী প্রেসিডেন্ট!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নতুন বছরের শুরুতে এসে বিশ্ব মজেছে সেরা যৌন আবেদনময়ী প্রেসিডেন্টকে নিয়ে। আর সামাজিক মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে এ নিয়ে চলছে বিস্তর ঠাট্টা আর টিপ্পনি। নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, গত ২৮ ডিসেম্বর টুইটারে ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কলিন্দা গ্রাবার কিতারোভিকের সৈকতে অবসরযাপনের ছবি ছড়িয়ে পড়ে।

আর এরপরই তাঁর ছবিকে ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে ইন্টারনেট দুনিয়া। গত কদিনে প্রেসিডেন্ট কলিন্দার ছবি ভাইরাল হয়ে ছড়াচ্ছে এক সাইট থেকে অপর সাইটে। কলিন্দার দেহ-বিভঙ্গে শুধু তাঁর দেশবাসীই নন, মজেছে গোটা দুনিয়া!

গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ক্রোয়েশিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন কলিন্দা। আকর্ষণীয় রূপের সুবাদে গোড়া থেকেই আলোকচিত্রীদের ক্যামেরার লেন্স সব সময় তাঁকে খুঁজে বেড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সমুদ্রস্নানের পোশাক পরা কলিন্দার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলেছে তুফান।

সামাজিক গণমাধ্যমে অনেকের মতে, বিশ্বে এমন রূপসী এবং যৌন আবেদনময়ী রাষ্ট্রনেতা এ যাবৎ দেখা যায়নি। এ ছাড়া প্রেসিডেন্টের ‘সেক্স অ্যাপিল’ ও ‘ফিগার’ যে অনেকের মনেই ঝড় তুলেছে সে কথা অবলীলায় স্বীকার করেছেন অনেক পুরুষ। তাঁর ছবিসহ ট্যুইটারে আছড়ে পড়ছে মজাদার সব ট্যুইট। অনেকে তো ক্রোয়েশিয়ার নাগরিকত্বও চাইছেন মজা করে।
তবে সৈকতাবাসে অবসরযাপনের সময় প্রেসিডেন্টের লাস্যময়ী রূপ ঠিক কবে ক্যামেরাবন্দি হয়েছিল, সে ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত সঠিক তথ্য মেলেনি। কারো কারো অভিমত, দেশের সর্বোচ্চ পদে বসার আগেই এই ছবিগুলো তোলা হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট নিজে অবশ্য এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বরাবরের মতোই।

নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ১৯৯৬ সালে অর্থনীতিবিদ জ্যাকভ কিতারোভিচের সঙ্গে বিয়ে হয় কলিন্দা গ্রাবারের। তাঁদের দুই সন্তান, মেয়ে ক্যাটারিনা (১৪) ও ছেলে ল্যুকা (১২)। কলিন্দা ক্রোয়েশিয়ান ছাড়াও ইংরেজি, স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ ভাষায় পারঙ্গম। এ ছাড়া জার্মান, ফ্রেঞ্চ ও ইতালিয়ান ভাষা তিনি বুঝতে পারেন।

এর আগেও বিশ্ব মিডিয়ায় এই ‘আবেদনময়ী’ প্রেসিডেন্টকে নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবে মানবাধিকার দিবসের এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে মানবাধিকার সংগঠনের এক নেতা পোশাকের নিয়ন্ত্রণ হারান।

মঞ্চের ওপর ফোটো সেশন চলাকালীন প্রেসিডেন্টের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ক্রোয়েশিয়ান হেলসিংকি মানবাধিকার কমিটির নেতা আইভ্যান জোনিমির প্যান্ট খুলে যায়। তিনি এই প্যান্ট সামলাতে হিমশিম খান এবং পাশেই চোখের পলক না ফেলে নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকেন প্রেসিডেন্ট কলিন্দা।

এই ঘটনার পর নিন্দুকরা অবশ্য টিপ্পনি কেটেছেন এই বলে, সুন্দরীর উপস্থিতিই এই পোশাক বিভ্রাটের কারণ। বলা বাহুল্য, ‌ওই ঘটনার পরও প্রেসিডেন্টের মুখে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।