‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে আসবে’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তারা (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা নির্বাচনে আসবে। নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে তাদের ঘোষণা আসাটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।শনিবার সকালে শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে ফুল দিয়ে শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি নির্বাচন নিয়ে হতাশ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে তাদের হতাশা কেন জানি না। তবে হতাশার মধ্যেও আশার আলো আছে। তারা নির্বাচনে আসবে।জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে সমতল ভূমি তৈরির দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকার নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রয়োজন। ইসি তফসিল ঘোষণা দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পর এখন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা ইসির হাতে।
গণতন্ত্রের জন্য নূর হোসেনের আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথ সুগম ছিলো না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে এ গণতন্ত্র এসেছে। এই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নূর হোসেন জীবন দিয়ে গেছেন। তার এই ত্যাগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।এ সময় আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আজ ১০ নভেম্বর, শহীদ নূর হোসেন দিবস। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রাম-আন্দোলনে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৮৭ সারের এই দিনটি ছিল সামরিক স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ জনতার উত্তাল আন্দোলনের অগ্নিঝরা দিন। এ দিনে হাজারো প্রতিবাদী যুবকের সঙ্গে জীবন্ত পোস্টার হয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল যুবলীগকর্মী নূর হোসেনও। তার বুকে-পিঠে উৎকীর্ণ ছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’- এই জ্বলন্ত স্লোগান।গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অকুতোভয় সেই যুবকের অগ্নিঝরা স্লোগান সহ্য হয়নি তৎকালীন স্বৈরশাসকের। স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেয়া বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তার বুক ঝাঁজরা করে দেয়। ঢাকার রাজপথে শহীদ হন নূর হোসেন।