দায়িত্ব সেরে মাহমুদউল্লাহকে শুভকামনা মাশরাফির
স্পোর্টস ডেস্ক : প্রশ্নটা শুনেই মুখে মৃদু হাসি টেনে এনেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সঞ্চালকের মুখে টেস্ট সিরিজ নিয়ে ভাবনার প্রশ্ন আসতেই মাশরাফি বাঁদিকে তাকিয়ে বললেন, ‘এখন দায়িত্বটা মাহমুদউল্লাহর। আশা করি, আমাদের টেস্ট দল ভালো করবে।’
সঞ্চালকের দোষ নেই, বাংলাদেশের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব ও মাশরাফি এখন প্রায় সমার্থক শব্দে রূপ নিয়েছে। ফলে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল যে এই নেতাকে পাচ্ছে না, সেটা অনেকেই ভুলে যান। অনেকেই হয়তো ভুলে থাকার চেষ্টা করেন। আরেকটি ওয়ানডে সিরিজ অনায়াসে জিতিয়ে ফেরার পর টেস্ট সিরিজেও সাফল্যের জন্য মাশরাফির দিকে তাকাতে ইচ্ছে করতেই পারে সমর্থকদের। কিন্তু মাশরাফি তো নেই-ই, নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও বাইরে আছেন চোটের কারণে। তাই মাহমুদউল্লাহকেই নিতে হচ্ছে বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটের দায়িত্ব।
টেস্ট সিরিজ এখনো এক সপ্তাহ পরের গল্প। আপাতত তাই সিরিজ জেতার পর ওয়ানডে অধিনায়কের কথাই গুরুত্ব বেশি পাচ্ছে। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে হলেও এ সিরিজে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্দেহ ছিল। সাকিব ও তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিই এর কারণ। বাংলাদেশ যে এত অনায়াসে সিরিজ জিতল, এর পেছনের কারণটা মাশরাফির কাছে স্পষ্ট, ‘এশিয়া কাপ থেকে ফিরে এসে আমাদের সবারই অনেক আত্মবিশ্বাস ছিল।’ সে আত্মবিশ্বাসেই হয়তো তিন ম্যাচেই খুবই অল্প কয়েক মুহূর্ত বাদে পুরো সময়টাই দাপিয়ে বেড়িয়েছে বাংলাদেশ।
মাশরাফি অবশ্য এখনো উন্নতির জায়গা খুঁজে পেয়েছেন। দলের সঙ্গে সঙ্গে নিজের বোলিং নিয়ে অসন্তুষ্টি আড়াল করেননি অধিনায়ক, ‘আমাদের বোলিং আরও ভালো হতে হবে, আমার নিজেরও। আমাদের স্পিনাররা ভালো করেনি। এশিয়া কাপে দারুণ করা স্পিনাররা এখানে একটু ছন্দ হারিয়েছে। তবু অনভিজ্ঞ এক দল নিয়ে এই উইকেতে ২৮৬ রানে আটকাতে পেরেছি। ২৬০/৭০ রানে আটকাতে পারলে ভালো লাগত। তবু এটা খারাপ না।’
বোলারদের নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হলেও আজ ব্যাটসম্যানরা পূর্ণ তৃপ্তি দিয়েছেন মাশরাফিকে, ‘সৌম্য ও ইমরুল অনেক ঠান্ডা মাথায় খেলেছে।’