প্রধানমন্ত্রীকে ড. কামালের চিঠি
নিজস্ব প্রতিবেদক : সংলাপ চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং সাধারণ সম্পাদক বরাবর দুটি চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। রোববার সন্ধ্যা সাতটার পর রাজধানীর ধানমন্ডি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চিঠি দুটি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
চিঠি দুটি পৌঁছে দেন ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমিটির সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক ও আ হ ম শফিকুল্লাহ। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ চিঠি দুটি গ্রহণ করেন।
চিঠি দেওয়ার পর জগলুল হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দুটি চিঠি নিয়ে এসেছি। একটি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং অপরটি সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বরাবর দিয়েছে। আমাদের সাত দফার বিষয়ে তাঁদের চিঠি দিয়েছে।’
চিঠির বিষয়ে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ সাংবাদিকদের বলেন ‘ওনারা দুটি চিঠি দিয়ে গেছেন। এখনো চিঠি খুলিনি, চিঠিতে কী লেখা তা আমি জানি না। কিছুক্ষণ পর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আসবেন। ওনার কাছে চিঠি দেওয়া হবে। কাল অপর চিঠিটি সভানেত্রীকে (শেখ হাসিনা) দেওয়া হবে। সভানেত্রীর সঙ্গে বসে চিঠির বিষয়ে আলোচনা করে আমাদের সিদ্ধান্ত পরে অবগত করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠিতে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের স্বাক্ষর রয়েছে। আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো চিঠিতে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুর স্বাক্ষর রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ড. কামাল হোসেনের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘যে সকল মহান আদর্শ ও মূল্যবোধ আমাদের জনগণকে মুক্তির সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিল, তার অন্যতম হচ্ছে ‘গণতন্ত্র’। গণতন্ত্রের প্রথম শর্তই হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের পক্ষে জনগণের ক্ষমতা প্রয়োগ করবে এবং জনগণকে শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন ও শাসনকার্য পরিচালনা করবে। এটাই আমাদের সাংবিধানিক অঙ্গীকার।’
‘আপনি নিশ্চয়ই একমত হবেন যে, বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনকে মহোৎসব মনে করে। এক ব্যক্তির এক ভোটের বিধান জনগণের জন্য বঙ্গবন্ধুই নিশ্চিত করেছেন। যা রক্ষা করা সকলের সাংবিধানিক দায়িত্ব।’
চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ‘ইতিবাচক রাজনীতি একটা জাতিকে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করে ন্যায়সংগত অধিকারগুলো আদায়ের মূলশক্তিতে পরিণত করে-তা বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন। নেতিবাচক রুগ্ণ রাজনীতি কীভাবে আমাদের জাতিকে বিভক্ত ও মহাসংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তাও আমাদের অজানা নয়। এই সংকট থেকে উত্তরণ ঘটানো আজ আমাদের জাতীয় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সাত দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য ঘোষণা করেছে। শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সকলের অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে- জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটি অর্থবহ সংলাপের তাগিদ অনুভব করছে এবং সেই লক্ষ্যে আপনার কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।’ সূত্র: প্রথম আলো