বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকের লিঙ্গ কাটল প্রেমিকা!
পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে আত্নীয়ের বাড়িতে পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হল না। সেখানে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় তার ব্লেড দিয়ে প্রেমিকের লিঙ্গ কেটে দিয়েছে প্রেমিকা। গুরুতর অহত অবস্থায় প্রেমিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) মধ্য রাতে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চাকসা পালপাড়া গ্রামে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,চাকসা পালপাড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে রহিমা খাতুন (১৮) সাথে মুঠোফোনে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে উপজেলার চরপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদ মিয়ার কলেজ পড়ুয়া ছেলে আতিকুল ইসলাম আতিক (২২) এর।
ভালবাসার এক পর্যায়ে তাদের সর্ম্পকে ভাটা পড়ে। কিন্তু হালিমা প্রেমিক আতিকুলকে তবুও মুঠোফোনে বিয়ের চাপ দেয়। পারিবারিক সমস্য জানিয়ে আতিকুল প্রেমিকাকে নিরুৎসাহিত করে। কিন্তু হালিমা তা মানতে নারাজ।
ঘটনাক্রমে আতিকুলে চরপাড়া গ্রামে একটি জিয়ারত অনুষ্ঠানে কয়েকদিন আগে পুলিশ হেফাজত থেকে হাতকড়া সহ উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের সাধারন সম্পাদককে ছিনতাই করা হয়। সে সময় পুলিশকে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করে এবং চরপাড়া গ্রামে সাড়াশি অভিযান চালিয় ২১ জনকে গ্রেফতার করে। ধরাবাহিক পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার আতঙ্কে ওই গ্রাম পুরুষ শুন্য। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে সবার মত আতিকুল বুধবার চাকসা পালপাড়া গ্রামে তার ফুফা নূরাল ফকিরের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
বৃহস্পতিবার রাতে হালিমা জানতে পারে আতিকুল তার বাড়ির পাশে ফুফার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। সুযোগ বুঝে সে তখন মুঠোফোনে আতিকুলকে বার বার দেখা করতে বলে খুদে বার্তা পাঠানো সহ ফোন করে। কিন্তু সে তাতে রাজি না হওয়ায় মধ্য রাতে হালিমা তার স্বজনদের সহায়তায় আতিকুলের সাথে দেখা করতে ওই বাড়িতে যায়। হালিমার চাপে সে ঘরের দরজা খুলতেই ভিতরে প্রবেশ করে তাকে তাৎক্ষণিক বিয়ের দাবী জানায়। কিন্তু সে রাজি না হওয়ায় হালিমা তার স্বজনদের সহায়তায় ব্লেড দিয়ে আতিকুলের লিঙ্গ কেটে দেয়।
এ সময় তার আত্মচিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে এলে সবাই দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর অহত অবস্থায় আতিকুলকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকা জনক।
বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি, চাকসা গ্রামের আলহাজ আবু বক্কর ছিদ্দিক ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান,বিষয়টি দুঃখজনক।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে শুক্রবার রাতে কথা হলে আতিকুলের বড় ভাই মো.নাসির উদ্দিন জানান,আতিকুলের অবস্থা গুরুতর। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রচুর রক্ত ক্ষরণে সে জ্ঞান হারিয়ে আছে। তার ভাইয়ের উপর পরিকল্পিত এই হামলার সঠিক বিচার সহ দায়ীদের বিরুদ্ধে শিঘ্রই মামলা করবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি দাবী করেন,তার ভাই নিরাপরাধ। জোড় করে তাকে বিয়ে করতে না পেরে ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।