ধীরে ধীরে খুলতে চান গোপনীয়তার ভাঁজ
বিনোদন ডেস্ক : অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও এক অসম প্রেমের গল্পে নির্মিত হচ্ছে নতুন চলচ্চিত্র ‘শেকল’। দেবজ্যোতি ভক্তের গল্প অবলম্বনে এর চিত্রনাট্য নির্মাণ করেছেন জুয়েল রানা। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করছেন তরুণ নির্মাতা দৃষ্টি তন্ময়। চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রিয় দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন ঢালিউডের দুই নতুন মুখ ক্যামেলিয়া রাঙা ও ওমর মালিক।
১৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীর পূবাইল, প্রিয়াংকা শুটিং স্পট, হাতির ঝিল, কারওয়ান বাজার, বায়তুল মোকাররম, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে চলচ্চিত্রটির শুটিং চলছে। ঢাকার বাইরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শুটিং শেষে চলতিবছরই চলচ্চিত্রটি মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছেন নির্মাতা।
নির্মাতা দৃষ্টি তন্ময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাটক ও নাট্যতত্ব বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে রবীন্দ্রভারতী থেকে থিয়েটার এন্ড ভিডিওগ্রাফিতে পুনরায় স্নাতকত্তোর সম্পন্ন করেন। এর আগে ছোটপর্দায় তার নির্মিত দু’টি নাটক প্রচারিত হয়।
প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রসঙ্গে নির্মাতা দৃষ্টি তন্ময় বলেন, এটা আমার প্রথম চলচ্চিত্র। অন্যরকম এক প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মাণ করছি। মানুষের চেতনার মূলে স্পর্শ করবে এর প্রতিটি দৃশ্য। চরিত্রগুলোই এমন ছিলো যে, এখানে তারকাখ্যাতি আছে এমন অভিনয়শিল্পী প্রয়োজন ছিলো না। টিমের সবাই খুব চমৎকার সহযোগিতা করছে। আশা করছি খুব ঠিকঠাক নির্মাণ শেষে মুক্তির লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারবো।”
নিজের প্রথম চলচ্চিত্র ‘নূরু মিঞ্চা ও বিউটি ড্রাইভার’-এ ফজলুর রহমান বাবুর বিপরীতে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা ক্যামেলিয়া রাঙা। ‘শেকল’-এ অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নূরু মিঞা’তে একটা অন্যরকম গল্প ছিলো। এ গল্পটাও ব্যাতিক্রমী। সব নায়িকারই স্বপ্ন থাকে এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করার। এক ধরণের সাইলেন্ট রোমান্স আছে। ট্র্যাজেডি আছে। মধ্যবিত্ত চরিত্রের মেয়ে আমি। এতটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশে এ ধরণের ফিল্ম হয়নি।”
ওমর মালিক বলেন, “চলচ্চিত্রে পা ফেলেই এ ধরণের বৈচিত্রপূর্ণ একটি চরিত্র পেয়ে যাবো ভাবিনি। এটা নি:সন্দেহে যে কোন নতুন অভিনেতার জন্য একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ। তবে, নির্মাতা-নায়িকাসহ পুরো টিমের সহযোগিতায় মনেই হচ্ছে না চরিত্রের বাইরে আছি। আশা করছি চলচ্চিত্রটি মানুষের মন স্পর্শ করবে।”
চলচ্চিত্র ‘শেকল’-এর গল্পটা কেমন? এ নিয়ে মুখ খুলতে চাইলেন না নির্মাতা। জানালেন, চিত্রায়ণের আগেই গল্পটি সবার সামনে উন্মুক্ত করতে চান না তিনি। ধীরে ধীরে খুলতে চান গোপনীয়তার ভাঁজ। চলচ্চিত্রের গানগুলো করেছেন শান্ত শান। একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সঙ্গীতা মালো।