হ্যাটট্রিক করেও জানতেন না তাহির
স্পোর্টস ডেস্ক : পর পর দুই বলে দুটো উইকেট। তৃতীয় বলটা করার আগে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা এমনিতেই ঘাই করার কথা অবচেতন মনে। বোলারদের ক্ষেত্রে এমন ঘটাই স্বাভাবিক। ইমরান তাহিরও বোলার, কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য—হ্যাটট্রিক যে করেছেন তা টের পাননি!
ভাবতে পারেন এ কীভাবে সম্ভব? একটা হ্যাটট্রিকের দেখা পেতে মুখিয়ে থাকেন দুনিয়ার তাবৎ বোলার। বাঘা বাঘা অনেক বোলারই গোটা ক্যারিয়ারে এর দেখা পাননি। তাহির সেখানে হ্যাটট্রিক করেও টের পাননি—এ অসম্ভব। না, টের না পাওয়াও সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হলো, কাল জিম্বাবুয়ের ইনিংসে ১৮তম ওভারের শেষ বলে শন উইলিয়ামসকে তুলে নেন তাহির। ২০তম ওভারে এসে তাই আগের উইকেটটির কথা ভুলে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। সেই ওভারের (২০তম ওভার) প্রথম দুই বলে পিটার মুর ও ব্রান্ডন মাভুতাকে ফেরানোয় হ্যাটট্রিক হয়ে যায় এই প্রোটিয়া লেগ স্পিনারের। কিন্তু তাহির টের পাননি। আম্পায়ার বলার পর বুঝতে পেরেছেন, অনেক বোলারের কাছেই যা আরাধ্য তার দেখা মিলেছে—হ্যাটট্রিক!
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ১২০ রানের জয় তুলে নেওয়ার পর সে কথাই জানালেন তাহির, ‘হ্যাটট্রিক করতে পারা সব সময়ই বিশেষ কিছু। এটা ঘটে গেছে, সত্যি বলছি। এমনকি আমি নিজেও টের পাইনি—আম্পায়ার বলেছে হ্যাটট্রিকের কথা। তৃতীয় উইকেটটা তুলে নিতে পেরেই খুশি ছিলাম। আগেও বলেছি, দলের জন্য কিছু করতে পারলেই ভালো লাগে। তাই আমি ভীষণ খুশি কারণ দলের জন্য ৬ উইকেট নিতে পেরেছি।’
তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও কাল দ্বিতীয় ম্যাচে প্রোটিয়াদের কিছুটা ভয় ছিল। জেপি ডুমিনির দল আগে ব্যাটিংয়ে নেমে গুটিয়ে গেছে ১৯৮ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান ডেল স্টেইনের! ভুল পড়েননি। এই পেসারের প্রথম ওয়ানডে ফিফটিতে ভর করে সাদামাটা সংগ্রহ দাঁড় করাতে সমর্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। নইলে বড় বিপর্যয়ে পড়তে হতো স্বাগতিকদের। এক শ রান তুলতেই যে ৭ উইকেট নেই!
জিম্বাবুয়ে অবশ্য এই সাদামাটা স্কোর তাড়া করতে নেমে আরও সাদামাটা ব্যাটিং করেছে। তাহিরের (৬/২৪) ঘূর্ণিতে দলটি গুটিয়ে গেছে মাত্র ৭৮ রানে। চার্লস ল্যাঙ্গভেল্ট, জেপি ডুমিনি আর কাগিসো রাবাদার পর চতুর্থ প্রোটিয়া বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন তাহির।