মঙ্গলবার, ৩১শে জুলাই, ২০১৮ ইং ১৬ই শ্রাবণ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

যে কারণে প্রতি ৩ মিনিটে এইডসে আক্রান্ত হয় ১ কিশোরী

এইডস এর পরিনাম নিশ্চিত মৃত্যু। এইডস এক আতংকের নাম। বিশ্বে এইডস আক্রান্ত্রের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সভ্যতা বিধ্বংসী পারমানবিক বোমার চেয়ে ভয়ংকর, ঘাতক ব্যাধি এইডস বিশ্বকে গ্রাস করছে। মানব সভ্যতা আজ ধ্বংসের সম্মুখীন। এইডসের করাল গ্রাসে সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববাসীর এতোদিনের অভাবনীয় অগ্রগতির সব সাফল্যকে এইডস মলিন করে দেয়।

এইডস মানব সভ্যতার অস্তিত্বের উপর বড় হুমকি স্বরুপ। আজ সকল শঙ্কার কেন্দ্র বিন্দু, কি করে এইডস থেকে মানব জাতিকে রক্ষা করা যায়। এইডস অনিরাময়যোগ্য কালব্যাধি। এ মারাত্মক ব্যাধি সারা বিশ্বকেই আতংকিত করে রেখেছে। এ ঘাতক ব্যাধির কোন ওষুধ আজ পর্যন্ত আবিস্কৃত হয়নি।

বিশ্বে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রতি ৩ মিনিটে একজন কিশোরী এইডসে আক্রান্ত হচ্ছেন। বুধবার জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফ এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, লিঙ্গ বৈষম্য কিশোরীদের মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে।

আমস্টারডামে বিশ্ব এইডস সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, কিশোরীরা মরণব্যাধি এইডসের বীজ বহন করে চলেছেন।বয়স্কদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক, জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, সঙ্গমকালে আলোচনার বিষয়ে অক্ষমতা, গোপনীয় পরামর্শ ও পরীক্ষা পরিষেবা বিষয়ে সুযোগের অভাবসহ অল্প বয়সে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কারণে কিশোরীদের মধ্যে এইডসের সংক্রমণ বেশি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ইউনিসেফ প্রধান হেনরিয়েটা ফোয়ের এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে গিয়ে বলেন, ‘অধিকাংশ দেশেই কিশোরী ও নারীরা তথ্য ও সেবা পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। এমনকি অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে তাদের না বলার ক্ষমতাও নেই। এজন্য দুর্বল ও প্রান্তিক এসব কিশোরীদের মধ্যে এইডসের সংক্রমণ বেশি।’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০১০ সালের পর থেকে সব বয়সীদের মধ্যে এইডসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীরা। ২০১৭ সালে এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে ১২ লাখ কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি পাঁচজনে তিনজনই কিশোরী।

অ্যাক্টিভিস্ট ও অভিনেত্রী চার্লিস থেরন সম্মেলনে বলেন, ‘এইডসের জন্য শুধু যৌন আচরণই দায়ী নয়। বিশ্বব্যাপী কিশোরী ও নারীদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদাও এর জন্য দায়ী।’সূত্র: ডয়চে ভেলে