কাঁঠালের বিচি খান নাকি? তাহলে এখনেই জেনে নিন…
আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের বিচি বা বীজ খেলে কী হতে পারে? গবেষণা বলছে, কাঁঠালের বিচি খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টে অনেক উপকার হয়। কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে থিয়ামিন, রাইবোফ্লেবিন নামে দুটি উপাদান, যা দেহে এনার্জির ঘাটতি দূর করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, এই প্রকৃতিক উপাদানে জিঙ্ক, আয়রন, ক্যালসিয়াম, কপার, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম ত্বককে সুন্দর করে তোলার পাশাপাশি একাধিক রোগকে দূরে রেখে শরীরকে সার্বিকভাবে চাঙ্গা করে তুলতেও সাহায্য করে। জেনে নিন বিস্তারিত …
কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমায় : কাঁঠালের বিচির ফাইবার শরীরে প্রবেশ করে এমন খেল দেখায় যে কোষ্ঠ্যকাটিন্যের মতো রোগের প্রকোপ কমে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কোলোনের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
প্রোটিনের ঘাটতি মেটে : নিয়মিত মাছ-মাংস খাওয়ার সুযোগ হয় না নাকি? দেহে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে নিয়মিত কাঁটালের বীজ খাওয়া শুরু করতে পারেন। কাঁঠালের বীজে যে পরিমাণে প্রোটিন থাকে, তা দেহের দৈনিক চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট।
সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে : বর্ষাকালে নানাবিধ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে কাঁঠালের বীজ আপনাকে দারুণভাবে সাহায্য করতে পারে। এতে একাধিক অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এলিমেন্ট জীবাণুদের দূরে রাখার মধ্যে দিয়ে নানাবিধ ফুড-বন এবং ওয়াটার বন ডিজিজের প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় : পরিমাণ মতো কাঁঠালের বীজ নিয়ে প্রথমে কিছুটা সময় রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর সেগুলি বেটে নিয়ে চটজলটি গুঁড়ো করে ফেলুন। এই গুঁড়ো পাউডারটি খেলে নিমেষে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা কমে যায়। সেই সঙ্গে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। এতে ডায়াটারি ফাইবার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
স্ট্রেসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে : অফিসে কাজের চাপ এমন বেড়েছে যে মাথা থেকে ধোঁয়া বেরতে শুরু করেছে? হাতের কাছে কাঁঠালের বীজ আছে কি? যদি না থাকে, তাহলে এক্ষুণি কিনে এনে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন নিমেষে মানসিক চাপ কমে যাবে। কাঁঠালের বীজে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন এবং অন্যান্য উপকারি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যা মস্তিষ্কের কেমিকেল ব্যালেন্স ঠিক রাখার মধ্যে দিয়ে স্ট্রেস কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে : কাঁঠালের বীজে ভিটামিন এ, দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি একাধিক চোখ সম্পর্কিত সমস্যাকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বুড়ো বয়সে যদি চশমা ব্য়বহার করতে না চান, তাহলে আজ থেকেই কাঁঠালের বীজকে সঙ্গে রাখতে শুরু করুন।
ত্বকের বয়স কমে : খাতায় কলমে বয়স বাড়ালেও ত্বককে যদি আজীবন তরতাজা এবং সুন্দর রাখতে চান, তাহলে আজ থেকেই ব্যবহার শুরু করুন কাঁঠালের বীজের। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো বীজ নিয়ে প্রথমে গুঁড়ো করে নিন। তারপর সেটি অল্প পরিমাণ দুধের সঙ্গে মিশে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি প্রতিদিন মুখে লাগালে দারুন উপকার পাওয়া যায়। আর যদি হাতের কাছে মধু থেকে থাকে, তাহলে সেটিও এই পেস্টটি বানানোর সময় কাজে লাগাতে পারেন। দেখা গেছে পেস্টটির সঙ্গে মধু যোগ করলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য আরও বৃদ্ধি পায়।
অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমে : কাঁঠালের বীজে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা খুব অল্প দিনেই রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দূর করতে দারুণভাবে সাহায্য করে থাকে। আর কাঁঠালের বীজের দামও এমন কিছু নয়।