শুক্রবার, ১৯শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ৪ঠা কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

শেষ সময়ে গরু মোটাতাজাকরনের ব্যস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খামারিরা

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : কোরবানি ঈদ সামনে রেখে দেশি জাতের গরু পালনে ব্যস্ত সময় পার করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া খামারিরা। ইতোমধ্যে এ অঞ্চলের অধিকাংশ খামারে দেশি ও সম্পূর্ণ নিরাপদ পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ চলছে। এ বছরও ভারতীয় গরু আমদানি করা না হলেও কোরবানির বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোরবানি ঈদ উপলক্ষে যে পরিমান গরু চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে খামারগুলোতে দেরগুন বেশি গরু সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে। যে কারণে এ বছরও কোরবানি ঈদে পশুর সংকট হবে না বলে আশা করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার আট উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় কয়েক হাজার ছোট বড় খামার গড়ে উঠেছে। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসব খামারে পালন করা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের গরু ও ছাগল। গ্রামের বেকার যুবকদের পাশাপাশি অনেক নারীও নিজ বাড়ির আঙিনায় গড়ে তুলেছেন গরুর খামার। আর মাত্র ১৫ দিনপরে তা কোরবানির বাজারে তোলা হবে। শহরের পুনিয়াউট, ভাদুঘর, সদর উপজেলার কালিসীমা, হিলের বাজার, আখাউড়া মুগরা,নবীনগরের হলাপাড়া লালপুর এসব এলাকা সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ছোটবড় প্রচুর খামার গড়ে উঠেছে।


আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে এসবখামারির বেশ কয়েক জন মালিক জানান, কোরবানি উপলক্ষে আমাদের খামারে উন্নত জাতের গরু পালন করছি। এসব গরু নিবিড় পরিচর্যা মাধ্যমে বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়েছে। কয়েকদিন পরই তা বাজারে তোলা হবে। ইতোমধ্যে অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন কোরবানি উপলক্ষে গরু কেনার জন্য। গরু ব্যবসায়ী আমজাদ ফকির বলেন, প্রতিবছর কোরবানির বাজার উপলক্ষে ভারতীয় গরু চোরাইপথে আমদানি করে দেশিয় গরু চাহিদা কমতে থাকে। এতে কোরবানির আগমুহূর্তে বাজার ফের ভারতীয় গরুর দখলে চলে যায়। এ বছর যেন এ ধরনের কর্মকাÐ না হয় সে জন্য সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হবে। সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্র বলেন, জেলার চাহিদা অনুযায়ী প্রচুর খামার রয়েছে। কোরবানির বাজারে জেলার চাহিদা পূরণ করে তা অন্য জেলার বাইরের পাঠানো যাবে। ভারত থেকে পশু না আসায় খামারিরা পশু পালনে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।