বৃহস্পতিবার, ২রা আগস্ট, ২০১৮ ইং ১৮ই শ্রাবণ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

নৌমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার আলটিমেটাম

বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার পর নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের দেয়া বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রীকে এই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তারা।সোমবার দুপুর পৌনে ১টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে রমিজ উদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থী শাহীন সিফাত সংবাদ সম্মেলন করে এ আলটিমেটাম ঘোষণা করেন।

 

বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় বিমানবন্দর সড়কসহ ঢাকার বেশ কিছু রাস্তা অবরোধ করলে রাজধানী ও আশেপাশের সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা জানিয়ে সায়েন্সল্যাব ও বাটা সিগন্যালের আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। এতে মিরপুর, মহাখালী, নিউমার্কেট, পল্টন, শাহবাগ, রামপুরা, ফার্মগেট ও ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয় যানজট।

 

অপরদিকে সকাল থেকে বিএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা শাহীন কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। তারা নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন।

 

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা  ৯ দফা দাবি আদায়ে সাতদিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন। ৯ দফা দাবির মধ্যে আছে- বোপোরোয়া ড্রাইভার ও ঘাতক চালকদের ফাঁসির বিধান সংবিধানে সংযোজন করতে হবে, নৌপরিবহন মন্ত্রীর নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে, প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকাতে স্পিড ব্রেকার দিতে হবে, এমইএস ফুট ওভারব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিহত হওয়ার দায়ভার সরকারকে নিতে হবে, শুধু ঢাকা নয়, সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করতে দেয়া যাবে না, শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে এবং বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া যাবে না।

রোববার দুপুরে বিমানবন্দর সড়কে হোটেল রেডিসন এলাকায় জাবালে নূর বাসের চাপায় নিহত হন রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী। তারা হলেন, আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) ও দিয়া খানম ওরফে মিম (১৬)।

 

প্রত্যক্ষদর্শী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর জানান, ঘটনার সময় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী র‌্যাডিসনের গ্যাপ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তারা বাসের জন্য ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস এলে তাতে শিক্ষার্থীরা উঠতে চেষ্টা করে। তখন জাবালে নূর পরিবহনের আরেকটি বাস এসে আগের বাসটিকে বামপাশে চাপাতে গিয়ে ওই দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

 

এরপর মোংলা বন্দরের জন্য মোবাইল হারবার ক্রেন কেনার চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা এ দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ তুলতে শাজাহান খান বলেন, আমি যদি আপনাদেরকে প্রশ্ন করি, আপনারা লক্ষ্য করেছেন, ভারতের মহারাষ্ট্রে একটা গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করে মারা গেল ৩৩ জন। এখন সেখানে কি আমরা যেভাবে এগুলোকে নিয়ে কথা বলি এগুলো কি ওখানে বলে?

এ জাতীয় আরও খবর

এগুলো কী হচ্ছে? প্রশ্ন সোহেল তাজেরও

নতুন সড়ক পরিবহন আইনে যা আছে

নৌমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিলেন হাছান মাহমুদ

আজ দেশের সব স্কুল-কলেজ ছুটি ঘোষণা

বোধ কিংবা মানবিকতা

হাফ ভাড়া দিতে চাই বলে আমাদের বাসে নেয় না