রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে পাশে আছে মালয়েশিয়া
নিউজ ডেস্ক: মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হাজি মোহাম্মদ বিন সাবু বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে মালয়েশিয়া। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন তা বিরল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জনগণের প্রশংসা করে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এই মন্ত্রী।
আজ বৃস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শনকালে সংবাদ সম্মলেনে মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসব বলেন।
হাজি মোহাম্মদ বিন সাবু বলেন, এসব রোহিঙ্গাদের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, আশ্রয়সহ নানাবিধ মানবিক সেবাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, বিশ্বের নিপীড়িত উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর দুর্দিনে যখন অনেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিল, তখন বাংলাদেশ নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও মানবতার দরজা খুলে দিয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জানমাল ও ইজ্জত রক্ষা করেছে।
মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিশ্ব কাজ করছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এখানে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মর্যাদা সহকারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোই সবচেয়ে ভালো সমাধান। বাংলাদেশকে এ ব্যাপারে মালয়েশিয়া সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গারা এ দেশে আশ্রয় নেওয়ার শুরু থেকে মালয়েশিয়া সরকার সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কুতুপালং ডি ৫ ব্লকের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্থাপনাগুলো ঘুরে দেখেন এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
পরে উখিয়ার টিঅ্যান্ডটি এলাকায় মালয়েশিয়া পরিচালিত ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন করেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে চাহিদা মতো স্বাস্থ্যসেবা পায় সেজন্য প্রয়োজনে এ হাসপাতালকে আরো সম্প্রসারণ করা হবে। তিনি হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের স্বাস্থ্যসেবায় আরো আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ জানান।
মালয়েশিয়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিকেল থেকে সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
প্রায় ১৮ সদস্যর মালয়েশিয়া প্রতিনিধিদল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কুতুপালং ত্যাগ করেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সরওয়ার কামাল, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামশুদ্দৌহা, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরীসহ বিমান ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।