‘প্রতিদিন ডাবের পানি খাওয়া শুরু করলাম, তারপর…’
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বরাবরই সচেতন মানুষের লক্ষ্য। এ সংক্রান্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা চলছেই। ইন্টারনেট কিংবা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে অনেকেই কোনো না কোনো উপায়ে সুস্থ থাকার চেষ্টা করেন। এখানে একজনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হলো। তিনি হঠাৎ করেই ডাবের পানি খাওয়া শুরু করলেন। প্রতিদিন খেতেন। এটা খাওয়ার পর কী ঘটল? তার মুখ থেকেই জেনে নেয়া যাক।
তিনি লিখেছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে আমাকে প্রায়ই কথা শুনতে হতো। বাড়িতে তো বলতোই, বন্ধুরাও বলতো। সত্যিকার অর্থে আমি কখনোই কী খাচ্ছি তা নিয়ে চিন্তা করতাম না। আসলে আমি বেশ চিকন স্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলাম। আর আমরা দেহে চর্বি না জমা পর্যন্ত এসব নিয়ে চিন্তাও করি না।
একবার অন্য এক শহরে থাকতে শুরু করি আমি। তখন ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। প্রায়ই কাজে যেতে দেরি হয়ে যেতো। অসুস্থ বোধ করতাম। প্রায় সময়ই সকালে নাস্তা করতাম না। মাঝে মাঝে এক বাটি ওটস কিংবা কেবল এক কাপ কফি খেয়েই বেরিয়ে যেতাম। কিন্তু একমাসের মধ্যেই আমার অবস্থা অবনতির দিকে গেলো। কাজ করতে মন চাইতো না। অবসাদ গ্রাস করলো। দুর্বল হতে থাকলাম। বেছে নিলাম মাল্টিভিটামিন আর আয়রন ট্যাবলেট।
ঘটনার শুরু কোনো একদিন। অফিস থেকে ফেরার সময় রাস্তার পাশে দেখলাম একটা ছেলে ডাব বিক্রি করছে। সেখানে দাঁড়িয়ে একটা ডাব খেলাম। পরদিন একইভাবে তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। আবারো একটা ডাব খেলাম। কেন জানি না, এটা প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হলো। কয়েক দিন পরই আমি বাড়িতে দুই-তিনটি করে ডাব কিনে আনতাম। জানতাম এটা স্বাস্থ্যকর পানীয়। কিন্তু এর ফলাফল আমি চিন্তাও করতে পারিনি।
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই আমি নিজের ভেতরে পরিবর্তন স্পষ্ট অনুভব করলাম। পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে গেলো। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পুরোপুরি সতেজ লাগতো। সকালের নাস্তা আর বাদ দিতে মন চাইতো না। আরো খেয়াল করলাম, আজেবাজে খাবারের প্রতি মন উঠে গেলো আমার।
এসিডের সমস্যা দূর করে দিলো ডাবের পানি। গ্রীষ্মের গরমেও ডাবের পানি খেতাম। এতে করে আমার গ্লুকোজ বা অন্য কিছু খাওয়া লাগতো না। এখন প্রায় ছয় মাস হয়ে গেছে। আমি প্রতিদিন ডাব খেয়েছি। একদিনও বাদ দেইনি। এই ডাবের জাদু আমি এখন বুঝে গেছি। নিঃসন্দেহে এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর পানীয়।
কাজেই আপনিও যদি এটা পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করেন তো খুব শিগগিরই টের পাবেন উপকারিতা। আপনার ভেতরের সব সমস্যার অনেকটাই দূর করে দেবে ডাবেন পানি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া