দৃষ্টিশক্তিকে সুস্থ রাখে যে খাবার
লাইফস্টাইল ডেস্ক: দৃষ্টিশক্তি না থাকলে পৃথিবীর সব কিছুই অন্ধকার হয়ে যায়। স্পষ্ট কিছু না দেখার যন্ত্রণা নিজেকে পীড়া দেয়। এ জন্য দৃষ্টিশক্তি সচল রাখতে সচেতন হতে হয়। আর এর জন্য খুব বেশি কিছু করতে হয়না। এ টিপসগুলো মনে রাখুন।
১. সাররণত সবুজ শাক-সবজি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহয্য করে। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় বেশি পরিমাণে সবজি রাখবেন। তবে লক্ষ্য রাখতে সেগুলো যেন অতিরিক্ত সিদ্ধ না হয়ে যায়।
২. সবজির মধ্যে পালং শাকে থাকা লুটেইন চোখের জন্য অনেক উপকারী। এটি অন্ধত্ব থেকে রক্ষা করে।
৩. মিষ্টি আলুর উপাদানগুলো আমাদের চোখের জন্য অত্যন্ত জরুরি। রান্না বা সিদ্ধ করে খেতে পারেন মিষ্টি আলু।
৪. গাজর চোখের জ্যোতি বাড়ায় এবং ছানি পড়া থেকে রক্ষা করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের গাজর খাওয়ার অভ্যাস করা প্রয়োজন।
৫. কুমড়ার ক্যারোটিনয়েডস লুটিন ও জিক্সান্থিন বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পুষ্টি উপাদান।
৬. বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ যা চোখের জন্য ভালো। বাঁধাকপি দামে সস্তা এবং সব জায়গায় পাওয়া যায় তাছাড়া সহজে নষ্ট হয় না।
৭. সবজির পর মাছ হচ্ছে চোখের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বেশির ভাগ মাছেরই রয়েছে চোখকে ভালো রাখার গুণাবলী বিশেষ করে ছোট মাছ গুলো যেমন মলা, ঢেলা, কাচকি মাছ ইত্যাদি।
৮. সামুদ্রিক মাছে থাকা পুষ্টি উপাদন চোখের রেটিনাকে সুরক্ষা করে, চোখে আদ্রতা ধরে রাখে।
৯. ঝিনুকের মাংসে জিংকের পরিমাণ অন্য যে কোনও খাবারের চেয়ে বেশি। এটি আমাদের চোখের ওপর একটি রক্ষাকারী আবরণ তৈরি করতে সাহায্য করে।
১০. ডিমের কুসুমে রয়েছে লুটিন এবং যথেষ্ট পরিমাণে জিংক, যা চোখকে ‘মাসকুলার ডিজেনারেশন’ সমস্যা থেকে বাঁচায়৷
১১. ব্রকলিতে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন বি২ চোখের ক্লান্তি, আলোর সংবেদনশীলতা, চোখের প্রদাহ ও ঝাপসা দৃষ্টি ইত্যাদির সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি কাঁচা, সালাদ করে বা তরকারি রান্না করা খাওয়া যায়।
১২. কমলালেবুতে থাকা রাসায়নিক লুটিন এবং ভিটামিন ‘সি’, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন ‘সি’ চোখের দৃষ্টি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
১৩. আমাদের দেশীয় ফল আম, কাঁঠালসহ হলুদ ও লাল রঙের ফল গুলো চোখের জন্য খুবই উপকারি। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের বেরী ফল খেতে পারেন।