অর্থমন্ত্রণালয়ের নতুন পরিপত্রে গতি আসবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা
সরাকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে অর্থছাড় ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন পরিপত্র জারি করেছে অর্থমন্ত্রণালয়। যাতে বলা হয়েছে এখন থেকে উন্নয়ন কাজে প্রথম দুই কিস্তির অর্থ প্রকল্পের পরিচালকরাই ছাড় করতে পারবেন। যাতে দরকার হবে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের এমন সিদ্ধান্তে প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়বে। যাতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার চ্যালেঞ্জ রয়ে যাচ্ছে কিছুটা।
কাক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের অনেকটাই নির্ভর করে ঠিক ঠাক এডিবি বাস্তবায়নের উপর। অথচ স্বাধীনতার পর কেবল ৫ বার ব্যবহার করা গেছে এ খাতের পুরো অর্থ। যা নিয়ে আলোচনাও কম হয়নি, কিন্তু কাক্ষিত ফল রয়ে যাচ্ছে অধরায়।
সরকারির উন্নয়ন বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করে পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ আইএমইডি। সংস্থাটি বলছে এসব কাজে সময় মত অর্থ না পাওয়ায় সাথে রয়েছে তদারকির ব্যাপক ঘাটতি। যা উন্নয়ন কাজে ধীর গতির ব্যাপক কারণ। তাই প্রকল্পের অর্থ ছাড় ও ব্যবহার পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে সরকার।
অর্থমন্ত্রণালয়ের জারি করা নতুন পরিপত্রে বলা হয়েছে এখন থেকে উন্নয়ন কাজে নতুন এবং দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করতে পারবেন প্রকল্পের পরিচালকরাই। যাতে দরকার হবে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি আসবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতিবিদ ড.কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, এটা নির্ভর করবে প্রকল্প পরিচালকদের উপরে, তারা যদি আগ্রহী হন, তারা যদি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে চান, প্রকল্প বাস্তবায়নে তাদের যদি আগ্রহ থাকে তাহলে এখন থেকেই সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বিআইডিএস সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, এমন অনেক প্রকল্প সরকার গ্রহন করেন যেটাকে আমরা বলে থাকি এটা রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। সেইভাবে এটার প্রয়োজন ছিল কী ছিল না, সেগুলো দেখা হয়েছে। সেই সব ক্ষেত্রে এইসব প্রকল্পের ফাঁক ফোকর দিয়ে অনিয়ম উৎসাহিত হতেও পারে। কোনো প্রকল্পের ক্ষেত্রে যে দীর্ঘ সময় নেয়া হয় সেক্ষেত্রে সময়ের অপচয় এবং অর্থে অপচয় হয় এই ধরনের উদ্যোগকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখতে চাই।
এর আগে ২০১২ সালে এক পরিপত্রে প্রকল্পের অর্থ ছাড়ে স্বপর্যায়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেয়ার বিধান করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সূত্র : চ্যানেল ২৪ টেলিভিশন