টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধস, সতর্কতায় মাইকিং
টেকনাফ প্রতিনিধি: গত কয়েকদিন ধরে মৌসুমী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। তবে বুধবার ভোর থেকে টেকনাফসহ বিভিন্ন উপজেলায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণে উনচিপ্রাংয়ের পুটিবনিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পর টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) প্রণয় চাকমার নেতৃত্বে একটি দল বিভিন্ন ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে টেকনাফে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির স্বেচ্ছাসেবকদের সতর্কতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় এ মাইকিং করা হয়।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে বর্ষাকালীন বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভোররাত থেকে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়। এতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণয় চাকমার নেতৃত্বে একটি দল টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পুটিবনিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প, মিনাবাজার, হাসাইন্নার টেক, হ্নীলা ইউনিয়নের বিভিন্ন ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) প্রণয় চাকমা বলেন, কোথায়ও তেমন দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে পুটিবনিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ের একটি অংশে ধসের ঘটনা ঘটে। এতে কোনও ধরনের হতাহত নেই। তবে কয়েকটি ঘর ভেঙে গেলেও তাৎক্ষণিক মেরামত করে দেয়া হয়। পাশাপাশি ঝুঁকিপ্রবণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে থাকতেও অনুরোধ করা হয়। যে কোনও দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
এ দিকে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২নং ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবক দল পাহাড়ের উঁচু, নিচু ও পাদদেশে অবস্থানকারীদের নিরাপদ ও সতর্ক থাকতে মাইকিং করেছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির উপজেলা অফিসার আব্দুল মতিন জানান, ভারী বর্ষণে ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের সতর্ক ও নিরাপদ অবস্থানে থাকার জন্য উপজেলার সকল স্বেচ্ছাসেবকদের পাহাড়ি এলাকায় মাইকিং করতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর থেকে কক্সবাজারে থেমে থেমে ভারী ও মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বুধবার সকাল থেকে মুষলধারে একটানা ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া বর্ষা মৌসুম হওয়ার পাশাপাশি বিরূপ আবহাওয়ার কারণে আগামী একসপ্তাহ পর্যন্ত ভারী ও মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।