মিলনের সময় তরুণীর মৃত্যু: হত্যা না দুর্ঘটনা?
অনলাইন ডেস্ক: যৌন মিলনের সময় গলায় প্রেমিকার গলা সজোরে চেপে ধরেছিল তার প্রেমিক। এতে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় প্রেমিকার। গতবছর ঘটনাটি ঘটেছিলো ভারতের মুম্বইয়ের কোলাবার হোটেলে। বছরখানেক পর এই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
যে সময় ঘটনাটি ঘটে, তখন দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু ফরেন্সিক রিপোর্টে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু নিশ্চিত হতেই ইসরায়েলি ওই যুবকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কোলাবার ওই হোটেলে ঠিক কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসরায়েলি যুবক ওরিরন ইয়াকভ (২২) তার প্রেমিকাকে নিয়ে ভারতে বেড়াতে আসেন ২০১৭ সালের মার্চে। দক্ষিণ মুম্বইয়ের কোলাবার একটি হোটেলে ওঠেন তারা। হোটেল কক্ষে যৌন মিলনের সময় উত্তেজনার বশে উনিশ বছর বয়সী প্রেমিকার গলায় চাপ পড়ে। কিছুক্ষণ পরেই ইয়াকভ টের পান, তার প্রেমিকা নড়াচড়া করছেন না। তখনই হোটেলকর্মীদের খবর দেন। তারাই পরে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়।
আরও : রাহুলের বিয়ে ভেঙে দিয়েছিলেন সোনিয়া!
পুলিশ গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ফরেনসিক তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞেরা নমুনা সংগ্রহের পর তরুণীর মৃতদেহ নিয়ে তার দেশ ইসরায়েলে গিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন পরিবারের লোকজন। ওই যুবকও ফিরে যান স্বদেশে।
সম্প্রতি সেই মৃত্যুর ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে আসার পরেই অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। আর এই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে আইনজ্ঞ মহলে।
অনিচ্ছাকৃত খুন কি?
ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী, মৃত্যুর উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও ঘটনা ঘটালে তা অনিচ্ছাকৃত খুনের আওতায় পড়ে। মৃত্যু হতে পারে জেনেও এমন কোনও গুরুতর আঘাত এবং তার ফলে মৃত্যু হলেও এই ধারায় অভিযুক্ত করা যেতে পারে।
এদিকে ইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ওই যুবক খুনের উদ্দেশ্য নিয়েই সেক্সের সময় প্রেমিকার গলা টিপে ধরতে পারেন। তবে সেটা আদালতে প্রমাণ সাপেক্ষ। তাই আপাততঃ এই অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা দিয়েই মামলা শুরু করেছে পুলিশ। সূত্র: আনন্দবাজার