শিক্ষকরা অনশনে, মাদক চোরাকারবারীরা সংসদে: এরশাদ
শিক্ষকরা এখনো রাস্তায় শুয়ে আমরণ অনশনে কেন তা জানতে চেয়ে সরকারের সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বুধবার (৪ জুলাই) সকালে বানানীর দলীয় কার্যালয়ে দলে নতুন সদস্য যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
এরশাদ বলেন, শিক্ষকরা আজ রাস্তায় শুয়ে আমরণ অনশন করছেন। তাদের সঙ্গে কেউ কথা বলার প্রয়োজন বোধ করছে না। অথচ শিক্ষকরাই জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। অথচ মাদক ও চোরাকারবারী এখন সংসদেই আছেন। মাদকের ছোবলে দেশের সংস্কৃতি ও সমাজ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
বুধবার দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব মেজর (অব.) আশরাফ উদ দৌলা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচির এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সুনীল শুভরায়, মেজর (অব.) খালেদ আকতার।
এরশাদ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর যে জুলুম-নির্যাতন চলছে তা মেনে নেওয়া যায় না। শুধু ছাত্র নয়, হামলা ও গ্রেফতার করা হচ্ছে অভিভাবকদের ওপরও। মত প্রকাশের ও দাবি আদায়ের জন্য কথা বলার অধিকার সবারই আছে। কোনও নাগরিক অধিকারের দাবি তুলতে পারবে না-এটা হতে পারে না।
সাধারণ মানুষ এখন রাজনীতিবিদদের ঘৃণা করে। আমরা ক্ষমতায় গিয়ে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবো। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এরশাদ বলেন, বিএনপি নির্বাচনে এলো কী এলো না তাতে কিছু এসে যায় না। বিএনপি নির্বাচনে এলে এক ধরনের প্রস্তুতি আর নির্বাচনে না এলে অন্য কৌশলে নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি।
আমরা নির্বাচন করবো, জাতীয় পার্টি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। ৩০০ আসনেই আমাদের প্রস্তুতি আছে, আমরা নির্বাচনে জয়ের স্বপ্ন দেখছি। ক্ষমতায় থাকাটাই বড় কথা নয়, মানুষের ভালোবাসা অর্জনই রাজনীতির মূল লক্ষ্য।