পুরুষের যৌন স্বাস্থ্য বিষয়ক ৯ টি পরামর্শ
আপনি সুস্থ যৌন জীবন উপভোগ করতে পুরুষের যৌন স্বাস্থ্যের ৯টি পরামর্শ।
নারী পুরুষের যৌন আনন্দ শুধু কয়েক মিনিটের উপভোগের বস্তু নয়। নিয়মিত যৌনতা উপভোগ করলে যেমন রক্তচাপ, হৃৎপিন্ড ভাল রাখে, তেমনি কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো না মেনে চললে নিজের ও সঙ্গিনীর শরীরে একাধিক রোগ সংক্রমণ হওয়ার বিপদ থাকে।
শরীর স্বাস্থ্যের ও রূপচর্চার প্রতি মেয়েরা সচরাচর একটু বেশিই সচেতন থাকলেও সেই তুলনায় ছেলেরা পিছিয়ে থাকে। তাই সুস্থ যৌন জীবন উপভোগ করার কথা ভেবে ছেলেদের কিছু অভ্যাস অবিলম্বে পরিবর্তন করা উচিত। তাই জেনে নিন ছেলেদের ০৯ টি যৌন স্বাস্থ্যবিধি যা আপনার সুস্থ যৌন জীবন উপহার দিতে সহায়তা করবে। নীচে তা উল্লেখ্য করা হলো। মনোযোগ দিয়ে পড়ে ফেলুন….
০১) নিয়মিত পুরুষাঙ্গ পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন। শরীরের এই অংশে পানি অথবা ঘাম জমতে দিবেন না। টিস্যু পেপার অথবা তোয়ালে দিয়ে ঘামার সঙ্গে সঙ্গে মুছে দিন। এবং প্রতিদিন অন্তত দু’বার সাবান অথবা বডিওয়াশ দিয়ে ধোয়া অনেক জরুরী। এতে দেহের এই অংশ ময়লা জমে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করবেনা।
০২) যৌন কার্য সম্পাদনের পর পরই পুরুষাঙ্গ পরিষ্কার করে নিন। এতে যৌনরোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশ কমে। হাতের কাছে পানি না থাকলে টিস্যু দিয়ে আলতো করে মুছে নিন।
০৩) প্রতিদিন আপনার অন্তর্বাস পরিবর্তন করুণ। ছেলেদের মধ্যে একই অন্তর্বাস দিনের পর দিন পরে থাকার একটি প্রবণতা দেখা যায়। এতে সঙ্গিনীর শরীরের রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকার পাশাপাশি আপনার শরীরেই বিভিন্ন ধরনের ত্বকের রোগ হতে পারে। নিয়মিত অন্তর্বাস না পরিবর্তন করলে পুরুষাঙ্গে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে।
আরও : রাহুলের বিয়ে ভেঙে দিয়েছিলেন সোনিয়া!
০৪) লিঙ্গে কোনও লাম্প, ফোস্কা, ফুসকুড়ি, দাগ বা লাল-ভাব হওয়া ইনফেকশন বা বড়সড় কোনও রোগের লক্ষণ হতে পারে। গোসল করার সময় প্রতিদিন ভাল করে খেয়াল করুণ আপনার লিঙ্গে এমন কিছু সমস্যা রয়েছে কিনা। ইনফেকশন থাকাবস্থায় কনডম না ব্যবহার করে কখনোই সহবাস করবেন না। আর ইনফেকশন চোখে পড়লে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
০৫) আপনার পুরুষাঙ্গে বা তাঁর আশে-পাশে কোন রকম ইনফেকশন থাকলে আপনার সঙ্গিনীকে মুখ মেহন (ওরাল সেক্স) করতে নিষেধ করুণ। ঠিক তেমনিভাবে আপনার নারীর সঙ্গিনীর যৌনাঙ্গএ কোনও ইনফেকশন থাকলে আপনি নিজেও মুখ মেহন করবেন না। এতে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
০৬) উদ্দাম যৌনতায় লিঙ্গের ত্বক এবং যোনি বা পায়ুনালির ভিতরের ত্বক কেটে যেতে পারে এবং রক্তও বেরোতে পারে। এই সব ক্ষেত্রেই এসটিডি বা সহবাসের মাধ্যমে সংক্রামিত রোগ এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ছড়ায়। এই সম্ভাবনা থেকে বাঁচতে কনডম ব্যবহার করুণ। বিশেষ করে যারা পায়ুসঙ্গম (অ্যানাল) করেন তাঁদের ক্ষেত্রে কনডম পরাটা খুবই জরুরী।
০৭) ভালো ব্রান্ডের, ভাল ফেব্রিক্সের অন্তর্বাস পড়ুন। খুব টাইট অন্তর্বাস পরলে ঘাম এবং ঘর্ষণের ফলে পুরুষাঙ্গে চুলকানি বা অন্যান্য ইনফেকশন হতে পারে।
০৮) যৌনাঙ্গ সুগন্ধি করে রাখুন। এতে ঘামের কটু গন্ধ থাকবে না ফলে নিজেরও ভালো লাগবে সাথে আপনার সঙ্গিনীরও। তবে কখনো পুরুষাঙ্গে ডিওডরেন্ট স্প্রে করবেন না। ভাল কোলন লাগাতে পারেন কিংবা হার্বাল পারফিউম লাগাতে পারেন।
০৯) আপনার যৌনাঙ্গের কেশমুক্ত রাখুন। আপনার যৌনাঙ্গের কেশ মুক্ত রাখতে রেজার ব্যবহার করুণ। কখনোই হেয়ার রিমুভার ক্রীম ব্যবহার করবেন না। হেয়ার রিমুভার ক্রীম ব্যবহারের ফলে যৌনাঙ্গের আশে-পাশের ত্বকে কাল ছোপ পড়ে যায়।