কন্যাসন্তানকে ‘বুকের দুধ খাওয়ালেন’ বাবা
অনলাইন ডেস্ক : আমেরিকান উইস্কনসিন রাজ্যে এক দম্পতি যখন তাদের সন্তানের জন্মের জন্য হাসপাতালে ঢুকছিলেন, তখন ভাবী-মা এপ্রিল নোবোয়ার নিশ্চয়ই ভেবেছিলেন এটা তার জন্য হবে এক স্মরণীয় রাত। কিন্তু সন্তানের বাবা ম্যাক্সমিলিয়ান হয়তো ভাবেন নি যে এটা তার জন্যও একটা ব্যতিক্রমী ঘটনাবহুল রাত হবে। খবর বিবিসি বাংলার ।
কিন্তু তাই হলো। এপ্রিলের প্রসব সহজে হলো না। তার খিঁচুনি এবং উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিল, তিনি সংজ্ঞা হারালেন। তখন জরুরি অস্ত্রোপচার করে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হলো।
শিশু রোজালি’র জন্মের পরই এপ্রিলের আরেকদফা সংজ্ঞা লোপ পেলো। তাকে আবার জরুরি চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলো। এর মধ্যে তিনি তার কন্যাসন্তানকে স্পর্শ করারও সুযোগ পান নি।
মাত্র ৩ দশমিক ৬ কেজি ওজনের ছোট্ট রোজালিকে তুলে দেয়া হলো তার বাবা ম্যাক্সমিলিয়ানের হাতে।ম্যাক্সমিলিয়ানের শরীরের সাথে একটি সিরিঞ্জ লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলছিলেন, “একজন নার্স এসে আমার হাতে আমাদের মেয়েকে তুলে দিলো। আমরা নার্সারিতে গেলাম, আমার শার্ট খুলে তাকে কোলে নিলাম যাতে সে আমার স্পর্শ পেতে পারে।”
নার্স আমাকে বললেন, তার মুখে একটা আঙুল দিতে – যাতে তার বুকের দুধ খাবার ট্রেনিং হয়।
“তারপর তিনি বললেন, আপনি কি আপনার স্তনের বোঁটা বাচ্চাটার মুখে দিতে পারেন, যাতে সে সত্যিকারের ব্রেস্টফিডিংএর কাছাকাছি কিছু একটা করতে পারে। আমি আমুদে লোক, বললাম – নিশ্চয়ই, কেন পারবো না।”
তখন নার্সটি আমার গায়ে একটি প্লাস্টিকের নিপল শিল্ড লাগিয়ে দিলেন – যার সাথে একটি কৃত্রিম দুধ ভরা সিরিঞ্জের সংযোগ করা ছিল।
“আমি কখনো ভাবিনি আমি বাচ্চাকে এভাবে বুকের দুধ খাওয়াবো। আমার শাশুড়ি যখন ব্যাপারটা দেখলেন তিনি তো নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।”
“আমি আমার সন্তানের মুখ দেখার সাথে সাথেই অনুভব করলাম তার সাথে আমার নাড়ীর টান। অনুভব করলাম – তাকে আমার কোলে নিতে হবে, তার স্তন্যপানের অভ্যাস তৈরি করতে সাহায্য করতে হবে।”
ম্যাক্সমিলিয়ান তার মেয়েকে বুকের দুধ খাওয়ানের ছবি ফেসবুকে এবং ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন।
অন্য কেউ কেউ আবার এটাকে ভালোভাবে নিতে পারেন নি। একজন বলেছেন ‘দু:খিত, এটা বড় বেখাপ্পা দেখাচ্ছে। তার মা যদি ব্রেস্টফিড করতে না পারে তাহলে একটা বোতল ব্যবহার করলেই তো হয়।”
ম্যাক্সমিলিয়ানের পোস্টটি শেয়ার হয়েছে ৩০ হাজারেরও বেশি। শত শত লোক তাতে মন্তব্য করেছেন।
তার কথা, তিনি যা করেছেন তা যে কোন বাবাই সন্তানের জন্য করতেন।