রেল সহযোগিতার চার প্রকল্পের উদ্বোধন
---
ভারতের ঋণ সহায়তায় নির্মিত দ্বিতীয় ভৈরব ও দ্বিতীয় তিতাস রেলসেতুর উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।সেইসঙ্গে খুলনা-কলকাতা রুটের নতুন ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ এবং ঢাকা-কলকাতা রুটের মৈত্রী এক্সপ্রেসের জন্য উভয়প্রান্তে বহির্গমন ও কাস্টমস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন তারা।বৃহস্পতিবার ঢাকায় গণভবন থেকে শেখ হাসিনা এবং দিল্লিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই চার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়ায় তার কার্যালয় নবান্ন থেকে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দিল্লিতে মোদীর সঙ্গে অনুষ্ঠানে ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আর ঢাকায় শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
রেল সেতু উদ্বোধনের সময় ভৈরব থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। কলকাতা রেল স্টেশনের আন্তর্জাতিক টার্মিনালে ছিলেন ভারতীয় রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করা হয় দিল্লি থেকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় একটি শান্তিপূর্ণ অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা ভারত এবং অন্যান্য নিকট প্রতিবেশীর সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাই। যেখানে আমরা সুপ্রতিবেশী হিসেবে পাশাপাশি বসবাস করতে পারি এবং জনগণের কল্যাণের জন্য গঠনমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারি।”
আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ ও আলাপ আলোচনার ওপর জোর দেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ভৈরব ও তিতাসের পুরনো সেতু দুটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৩৭ সালে। ভারতীয় ঋণে সেখানে নতুন দুটি সেতু হওয়ায় ডাবল লাইনে ক্রসিং ছাড়াই ট্রেন চলাচল করতে পারবে এবং যাতায়াতের সময় ১৫ মিনিট কমে আসবে বলে প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান।
২০১০ সালের নভেম্বরে একনেকের অনুমোদন পাওয়া এ দুটি প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ভারত ঋণ ৮২৬ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়েছে।
আশুগঞ্জ ও ভৈরবে মেঘনা নদীর ওপর ডুয়েল গেজ রেলসেতুটির দৈর্ঘ্য ৯৮২ দশমিক ২ মিটার। আর দ্বিতীয় তিতাস রেলসেতু ২১৮ মিটার দীর্ঘ।মৈত্রী এক্সপ্রেসে ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে বা আসার পথে এতদিন যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সারতে হত চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও মুর্শিদাবাদের গেদে সীমান্তে।
এখন থেকে বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হবে ঢাকা ছাড়ার আগেই। গন্তব্য শেষে কলকাতায় হবে ভারতীয় অংশের ইমিগ্রেশন। তাতে যাত্রার সময় কমে আসবে তিন ঘণ্টা; যাত্রীদের ভোগান্তিও কমবে।
আর খুলনা-কলকাতা রুটের নতুন ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেস বৃহস্পতিবার থেকে চালু হচ্ছে পরীক্ষামূলকভাবে। এর নিয়মিত যাত্রা শুরু হবে ১৬ নভেম্বর থেকে।
বন্ধন এক্সপ্রেস চালুর মধ্য দিয়ে খুলনা-কলকাতা রুটে দীর্ঘ ৫২ বছর পর যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। পাকিস্তান আমলে এই পথে ট্রেন চললেও ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর তা বন্ধ হয়ে যায়।
১৫৬ আসনের এই ট্রেনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বার্থ ভাড়া দেড় হাজার টাকা, আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আসনের ভাড়া এক হাজার টাকা।
বাংলাদেশ সময় বেলা সোয়া ১টায় খুলনা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হবে বন্ধন। বেলা ২টা ৫৫ মিনিটে যশোরের বেনাপোল অতিক্রম করে কলকাতায় পৌঁছাবে ভারতের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১০ এ। কলকাতা থেকে ট্রেনটি ছাড়বে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে; খুলনায় পৌঁছাবে বেলা ১২টা ৫ মিনিটে।
শুক্রবার থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেসও নতুন সূচিতে চলবে। সকাল সোয়া ৮টায় ঢাকা থেকে রওনা হয়ে কলকাতায় পৌঁছাবে স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায়। আর কলকাতা থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে রওনা হয়ে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ঢাকা পৌঁছাবে।
এ জাতীয় আরও খবর
- আফগানিস্তানে এক রাতে দুই মসজিদে হামলায় নিহত ৪০
- সৌদি-যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিরোধী জোটে ঢাকার সমর্থন
- কবর থেকে তোলা হলো রাউধার লাশ
- ভুটানের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশের বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ
- ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয়ে রাস্তায় নেই গাড়ি!
- বাংলাদেশের ওষুধ রফতানি হচ্ছে বিশ্বের ১২৭ দেশে
- নাফনদী থেকে সাড়ে ১১ কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ
- প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে রদবদল
- চলতি বছর চাকরি পাবে ২৭ লাখ মানুষ: পরিকল্পনামন্ত্রী
- দেশজুড়ে ভূকম্পন অনুভূত
- ঈদে যাত্রাপথে দুর্ঘটনায় নিহত ৩১১
- নিষেধাজ্ঞার ফল ভালো হবে না : পশ্চিমকে মিয়ানমারের হুমকি