‘পৃথিবীর সব মানুষের কাছে সম্মান রেখে’ এভ্রিল বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে কোনো বাঁধাবিপত্তিতে মাথা নত করিনি। একটা ১৬ বছরের মেয়েকে তার বাবা জোর করে বিয়ে দিচ্ছে, সেই মেয়ে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসেছে। সেই মেয়ে এখন সাকসেসফুল। সে তার সমাজের কোনো কথা শোনেনি। আশপাশের কারো কথা কানে নেয়নি। তার একটাই উদ্দেশ্য ছিল, যেখানে ২০ কোটি মানুষের বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ একটি দৈনন্দিন ঘটনা, সেখানে বাল্যবিবাহ আমি মানতে পারিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘১৬ বছরে বিয়ে দিলেই কোনো মেয়ের বিয়েটা হয় না। সেটা বাল্যবিবাহ হিসেবে গণ্য। আমি চেয়েছিলাম সে সবের এগেইনেস্টে কাজ করতে।’
ফেসবুক লাইভে আরো জানান, কীভাবে তার বাল্যবিবাহ হয়েছিল। বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও লেখিকা বেগম রোকেয়ার উদাহরণ টেনে এভ্রিল বলেন, মেয়েরা চাইলে অনেক কিছু করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি ডিভোর্সি, ফাইন, আমি একটা মেয়ে। এজ এ হিউম্যান আমার রাইট আছে, একটা ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যাটফর্মে গিয়ে নিজেকে প্রেজেন্ট করার। কই আমি তো নিজের জন্য কিছু চাইনি! আমি চেয়েছিলাম আপনাদের দেশের মেয়েগুলাকে জাস্ট দেখিয়ে দিতে যে, একটা মেয়ে চাইলে কী কী পারে।’
শুক্রবার ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর খেতাব জেতেন এভ্রিল। নাম ঘোষণা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। এরপর গণমাধ্যমে তার বিয়ে ও ডিভোর্সের খবর প্রকাশ হয়। এবার এভ্রিল নিজেই স্বীকার করলেন সে সব কথা।
এদিকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর আয়োজক প্রতিষ্ঠান অন্তর শোবিজ জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি খোলাসা করা হবে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে।