সুযোগ এসেছে কাজে লাগাও, শিষ্যদের হাথুরা
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে হাথুরাসিংহে আসছেন তা একদিন আগেই জানা ছিল। বুধবার তো অধিনায়ক আসবেন। মঙ্গলবার কোচ। বেশ ভালোই হলো। পরপর দুই দিন কোচ অধিনায়ককে পাওয়া গেল। দলের কথা কোচ এবং অধিনায়কের চেয়ে আর কে ভালো বলতে পারেন?
শিষ্যদর প্রাকটিসে সঙ্গ দিয়ে দুপুরে যখন সংবাদ সম্মেলন রুমে ঢুকলেন তখন তাকে খুব সুখী মানুষ মনে হচ্ছিলো। গর্বিত কোচ। আসলেই তো। তার চেয়ে সুখী মানুষ গর্বিত কোচ এই মুহুর্তে দ্বিতীয়জন কে? দায়িত্ব নেওয়ার পর আস্তে আস্তে বদলে যেতে থাকলো বাংলাদেশ দল।
২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা। এরপর দেশের মাটিতে টানা সাফল্য। সাফল্য আসছে দেশের বাইরেও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তো অতীতের সব সাফল্য পেছন ফেলে দিল।
বৃহস্পতিবার ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনাল। এই ম্যাচে বাজির দর নিশ্চিতভাবেই ভারতের পক্ষে। তবে সকল শক্তি নিয়ে চেষ্টা করে দেখতে চায় বাংলাদেশ। ভারতকে যে হারানোই যাবে না তা তো নয়। এটা যে সুবর্ণ সুযোগ। এক ম্যাচ জিতলেই নতুন ইতিহাস। ক্রিকেট দুনিয়াকে বিস্মিত করে ফাইনালে চলে যাবে বাংলাদেশ। আর এই সুযোগটাই খেলোয়াড়দের কাজে লাগানোর আহ্বান জানালেন কোচ চন্ডিকা হাথুরাসিংহে।
সংবাদ সম্মেলনে কোচ বললেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের বলব, এটা তাদের জন্য ভালো একটা সুযোগ। এটাকে বড় ম্যাচ হিসেবে না দেখে বরং ভালো একটা সুযোগ হিসেবে দেখতে বলেছি তাদের। জুনিয়র সিনিয়র সবাইকে বলেছি যে, সুযোগটা কাজে লাগাও। বলেছি সুযোগটা দুই হাতে লুফে নাও।’
এক সময় দেশের মাটিতে ভালো করতো দল। এখন দেশের বাইরে ভালো করছে। বাংলাদেশ এখন বড় দলের কাতারে চলে গেছে। এই সাফল্যের রহস্য কী? ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলাকেই ভাইটাল মনে করছেন কোচ।
হাথুরাসিংহে বললেন, ‘আপনারা দেখছেন গত তিন বছর ধরে আমরা ভালো করছি। আসলে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আমরা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলাম। আমরা নতুন পরিকল্পনা করলাম, দেশের মাটিতে ভালো করতে হবে। আমরা ভালো করলাম। এরপর দেশের বাইরে কীভাবে ভালো করা যায় সেটা নিয়ে পরিকল্পনা করলাম। দেশের বাইরেও আমরা ভালো করতে শুরু করেছি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে উঠলাম। এটা বড় পাওয়া।’