জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কমাতে বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সোফি অবার্ট। একাজে ফ্রান্স বাংলাদেশকে স্যাটেলাইট ডাটাবেজ সরবরাহসহ সব ধরনের সহায়তা দিতে চায়। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়ন শুরুর প্রক্কালে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে এই আগ্রহের কথা জানান ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি কার্যকর হচ্ছে শুক্রবার থেকে। এর আগে গত ডিসেম্বরে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা পরিবেশ রক্ষায় একগুচ্ছে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে একমত হন।
ওই সম্মেলনে বিশ্বের ১৯৭টি দেশ কার্বন নিঃসরণ কমাতে সম্মত হয়। আর ১৯২টি দেশ সই করে জলবায়ু চুক্তিতে। ৮৭টি দেশ ইতিমধ্যে নিজেদের পার্লামেন্টে এই চুক্তি অনুমোদন দিয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলার বহুমুখী সক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত।
ঢাকায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সোফি অবার্ট মনে করেন, বিশ্বায়নের এই যুগে সামাজিক এবং আর্থিকভাবে অগ্রসর হতে হলে আমাদের পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে, এর ফলে কার্বন নিঃসরণ কমবে পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণতাও হ্রাস পাবে। বাংলাদেশ বর্তমানে অনেকগুলো পরিবেশ বান্ধব প্রকল্প হাতে নিয়েছে আমরা এসব খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তিকে কার্যকর করতে আগামী ৭ নভেম্বরের মরক্কোর জলবায়ূ সম্মেলনে বিশেষ প্রস্তাবনা পেশের পরিকল্পনা করছে ফ্রান্স জানান রাষ্ট্রদূত।
সোফি অবার্ট আরো জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের মাশুল বাংলাদেশের মত উন্নয়শিল রাষ্ট্রগুলোকে দিতে হচ্ছে। কিন্তু প্যারিসের জলবায়ু চুক্তি যদি সব দেশ মেনে চলতে পারে তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেল করা সম্ভব।
মরোক্কোয় অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের অবস্থান।
বিশ্বে পরিবেশগত সংকটের শুরু উন্নত দেশ থেকে, এ মত গবেষকদের। এ কারণে পরিবেশ সুরক্ষার দায়-দায়িত্বও নিতে হবে তাদের।
ইনডিপেনডেন্ট টিভি