নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যা সিনহা মিম নিয়মিত টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে তিনি এখন বড় পর্দায় কাজ নিয়ে বেশি ব্যস্ত রয়েছেন। ইতোমধ্যেই অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। পাঠক, এই সংবাদের শিরোনাম দেখে প্রিয় অভিনেত্রীর বিপদের কথা শুনে একটু হয়তো চমকে উঠেছেন। ভাবছেন, এটি কোনো ভাগ্যগণনা বিষয়ক সংবাদ। বিষয়টি তা নয়।
ড্রাইভিং লাইসেন্স, আয়করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি, পাসপোর্ট প্রাপ্তি ও নবায়ন, চাকরির আবেদন, স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় ও বিক্রয়, বিয়ে রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা ও ব্যাংক ঋণ, শেয়ার-বিও অ্যাকাউন্ট, সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলনে ভবিষ্যতে তিনি বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন।
এ ছাড়া সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন উত্তোলন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিমানবন্দরে ই-গেটের মাধ্যমে আগমন ও বহির্গমন সুবিধা, বিমা স্কিম, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ, বিভিন্ন ধরনের ই-টিকিটিং, মোবাইল সংযোগ, হেলথ কার্ড, ই-ক্যাশ, ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি, সিকিউরড ওয়েব লগ ইন, ই-ফরম পূরণে নাগরিকের সঠিক ও নির্ভুল তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযোজনসহ বাংলাদেশের একজন নাগরিকের সুযোগ-সুবিধা যা আপনি পান, মিম সেটি নাও পেতে পারেন। এমনকি এ কারণে তিনি বিপদের সম্মুখীনও হতে পারেন।
পাঠক, এখন হয়তো আপনি এর কারণ নিয়ে ভাবছেন। ভাবতে থাকুন। এর ফাঁকে শুধু এটুকু আপনাকে জানিয়ে রাখি, গত ২ অক্টোবর থেকে চালু হয়েছে স্মার্ট কার্ড বিতরণ। এই কার্ডটি তিনি পাবেন না নিশ্চিত। তবে এ কথা এখন সবাই জানেন যে, স্মার্ট কার্ডের অনেক সুবিধা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রমনা থানা নির্বাচনী অফিসার মাহাবুবা মমতা হেনা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ভবিষ্যতে চাকরির আবেদন, সিম কার্ড ক্রয়, বিদেশগমনসহ সব বিষয় স্মার্ট কার্ডের আওতায় নেয়া হবে। এতে করে যে সব লোক স্মাট কার্ড নেবে না তাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।’
পাঠক, এবার নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন মিম ভবিষ্যতে কেন এবং কোন ধরনের বিপদে পড়তে যাচ্ছেন। বিদ্যা সিনহা মিম জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হলেও তিনি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ভোটার হননি এবং ভোটার আইডি কার্ড করেননি।
কেন করেননি জানতে চাইলে এ প্রতিবেদককে মিম বলেন, ‘ভোটার আইডি কার্ড করব করব বলে এতদিনে করা হয়নি। বাবা সব সময়ই বলেন আইডি কার্ডটা অন্তত করে নিতে। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে করা হয়নি।’