নিজস্ব প্রতিবেদক : পাকিস্তানে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমর্যাদা তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকমিশন। আর এজন্য প্রথমেই বেছে নেয়া হয়েছে পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রদেশ লাহোর। আর টার্গেট সুশীল সমাজ।
ইসলামাবাদ হাইকমিশন আজ বুধবার লাহোরের অভিজাত ফালিটিস হোটেলে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতার ওপর একটি মতবিনিময়ের আয়োজন করে। পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান এতে ৩০ মিনিটের পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন। তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
হাইকমিশনার বলেন, দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবা, সেনিটেশন ও প্রাথমিক শিক্ষায় দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, রফতানি আয়, প্রবাসী আয়, রিজার্ভ, জ্বালানী খাতের সম্প্রসারণ, মোবাইল এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ অঞ্চলে বাংলাদেশের রয়েছে অগ্রবর্তী অবস্থান। জনকেন্দ্রীক উন্নয়নের মডেল ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে শান্তি ও সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে অগ্রসর হচ্ছে।
হাইকমিশনারের প্রেজেন্টেশনের পর প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়। এতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বাণিজ্য, জ্বালানী, ভিসা, জনগণের মধ্যে সম্পৃক্ততা, সার্কের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এছাড়া যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের বিচার প্রক্রিয়াসহ কিছু রাজনৈতিক প্রশ্নও করা হয়। হাইকমিশনার তার উত্তর দেন।
মতবিনিময়ে পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সামশেদ আহমেদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক হাইকমিশনার ইকবাল আহমেদ খান, পাঞ্জাব অ্যাসেম্লির সদস্য ইরাম হাসান বাজওয়া, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মুজাহিদ কামরান, পাঞ্জাবের সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট রানা ইজাজ আহমেদ খান ও সোনেরি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ফিরাস্তাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানস্থলটি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ব্যানারে সাজানো হয়। এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য কিছু বুকলেটও রাখা হয়। বাংলাদেশের ওপর দেখানো হয় ভিডিও চিত্র।