শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরে থাপ্পড় মেরে পুলিশের কানের পর্দা ফাটানোর ঘটনায় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আক্তার হোসেন ঢালীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসীন মাদবর, যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন টিপু ও রাশেদউজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে এ ঘটনায় চিকিৎসক ও পুলিশ বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে।
পালং মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, অনৈতিকভাবে চিকিৎসা সনদ নেয়ার জন্য চিকিৎসকের ওপর চাপ প্রয়োগ ও লাঞ্ছিত করায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বাদী হয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন হাওলাদার, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ভাইগনা আক্তার হোসেন ঢালী এবং আওয়ামী সমর্থক খলিলুর রহমান জাগরণ শেখকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে পুলিশকে মারধরের ঘটনায় পালং থানার উপ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে উপরোক্ত তিনজনকে আসামি করে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসীন মাদবর বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করায় আক্তার হোসেন ঢালীকে ছাত্রলীগের সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, চিকিৎসককে অপদস্থ ও পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার দুপুরে আলমগীর হাওলাদার, আক্তার হোসেন ঢালী ও খলিলুর রহমান জাগরণ সদর হাসপাতালে ডা. দেবাশীষ সাহার কক্ষে যান। এ সময় তাদের কথামতো অনৈতিকভাবে চিকিৎসা সনদ দিতে রাজি না হওয়ায় তারা চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্য সেলিম মাতুব্বর এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে আক্তার ঢালী তার কানে থাপ্পড় দেন। এতে সেলিমের কানের পর্দা ফেটে যায়। তাকে সঙ্গে সঙ্গে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠিয়ে দেয়া হয়। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঢাকাটাইমস