ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় কোনো আওয়ামী লীগ নেতার ইন্ধন থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবাইদুল মুকতাদির চৌধুরী এই মন্তব্য করেন।
বুধবার দুপুরে নাসিরনগরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। এ জন্য যা যা করার সবই করা হবে। একই সঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে যদি কোনো আওয়ামী লীগ নেতার ইন্ধনের কথা বেরিয়ে আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার দিন দায়িত্বে অবহেলার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জের প্রত্যাহার দাবি করেন তিনি।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী মন্টুসহ জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন একটি সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগদান করেন। এ সময় চাপরতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরুজ আলী সমাবেশে উত্তেজনাকর বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেছেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার প্রতিবাদ করে রসরাজের ফাঁসির দাবি করেছি। সেখানে কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য ছিল না।