নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ এক সময়ে যে উৎপাদনকে সোনালি আঁশ বলে বলা হত আজ সরকারের নজরদারীর অভাবে সে উৎপাদন অনেকটা বিলুপ্তের পথে। পাটের সেই সোনালি দিনগুলো হারিয়ে গেছে আজ কালের আবর্তে। তারপরও পাট চাষের উপযোগী ব্রাহ্মণবাড়িয়া কিছু অঞ্চলের চাষিরা থেমে নেই। এই মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাটি অঞ্চলের বিস্তীর্ণ জমিতে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল, বিজয় নগর, নাসিরনগর, নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। তবে প্রতিবারের মতো এবারো ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পাটচাষিরা। তাই ন্যায্য মূল্য পেতে সরকারে পক্ষথেকে পাটের বাজারমূল্য নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন চাষিরা। অন্যদিকে চাষিরা ঠকলেও লাভবান হচ্ছে দালাল ও সুবিধা ভোগী এক শ্রেণীর পাইকাররা।সরেজমিনে ঘুরে কথা হয় কয়েকজন পাট চাষির সাথে তারা বলেন, আমাদের উৎপাদন খরচ অনুযাযী প্রতি মণ পাট ২ হাজার টাকা হওযা উচিত, সেখানে আমাদের ১হাজার থেকে ১২শ’ টাকায বিক্রি করতে হচ্ছে। সরকার মূল্য নির্ধারণ না করায দালাল ও পাইকাররা তাদের সুবিধা মত যা বলছে সে দামেই পাট আমরা তাদের কাছে বিক্রি করতে হয়।তবে এবছর পাটে কোন রোগ-বালাই না থাকায় আশানুরূপ ফলন হওয়ায় খুশি কৃষক। কিন্তু পাচ্ছি না ন্যায্য মূল্য। এতে আমরা আর্থিক ভাবে বেশ লোকসান পোহাতে হচ্ছে।কৃষি সপ্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে ৩হাজার ৫শত ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১শ ৩৫ হেক্টর বেশী। উৎপাদন লক্ষমাত্র ধরা হয়ে ছিল প্রতি হেক্টরে ৯.৭৩ বেল। তবে প্রতি হেক্টরে লক্ষমাত্রার চেয়ে ১ বেল বেশী উৎপাদন হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, এবছর জেলার লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশী পাঠ উৎপাদন হয়েছে। আমরা কৃষকদের বীজসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ করেছি, তাই আশা করছি কৃষক এবার লাভবান হবে। পাট চাষিরা কৃষকদের স্বার্থে পাটের বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারি নজরদারিজরুরি বলে মনে করেন। তাই এই বিষয়ে সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে এমনটায় প্রত্যাশা সকলের।