এইচএসসি পাস করেছে আট লাখ ৯৯ হাজার শিক্ষার্থী। অথচ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে মাত্র ৪৫ হাজার। ভর্তি পরীক্ষায় একটি আসনের বিপরীতে লড়তে হবে ২০ জনকে। তারওপর গত বছর এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীরা আবার সুযোগ নেবেন। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।
এইচএসসিতে পাস করেছে আট লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮ হাজার ২৭৬ জন।
আর কিছুদিন পরেই শুরু হচ্ছে ভর্তিযুদ্ধ। আসন সংকটের কারণে প্রায় আট লাখ শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবে না।
শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন রয়েছে প্রায় ছয় হাজার, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় তিন হাজার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চার হাজার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন হাজার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হাজার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় এক হাজার এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় তিন হাজার আসন রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছয় হাজার
বুয়েট এক হাজার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় তিন হাজার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চার হাজার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তিন হাজার
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় দুই হাজার
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এক হাজার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তিন হাজার
সরকারি মেডিকেল কলেজ দুই হাজার পাচ শ
পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলেও সবাই উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন রয়েছে প্রায় ৫ লাখ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন প্রায় দেড় লাখ। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী।
জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ লাখ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এক লাখ ৫০ হাজার
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ পাঁচ হাজার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেছেন, ভর্তি পরীক্ষায় যারা ভাল করবে তারাই উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে। উচ্চ শিক্ষায় সমতা আনতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
সেপ্টেম্বর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। শেষ হবে ডিসেম্বরে।