রাজশাহী সমাবেশে যে বার্তা দেবে ঐক্যফ্রন্ট
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ ঘিরে সবার দৃষ্টি এখন রাজশাহীতে। শুক্রবার দুপুর ২টায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি আদায় ও জনমত গঠনে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহীর আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে আয়োজিত হয়েছে সমাবশে।জানা গেছে, এ সমাবেশ থেকে এমন কর্মসূচি আসবে যা দেশের রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। এখান থেকেই সুষ্ঠু নির্বাচনের গণআন্দোলন শুরু হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করার আন্দোলনের কর্মসূচিও ঘোষণা হবে আজকের সমাবেশ থেকে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফ্রন্টের রাজশাহী বিভাগের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান মিনু জানান, মহাসমাবেশে লাখো মানুষের সমাগম হবে। এখান থেকেই অনির্বাচিত সরকারের বিদায়ের আন্দোলন শুরু হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্ত হবেন।তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশের কিছু অতি উৎসাহী ও উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তা সমাবেশ ব্যর্থ করতে নানাভাবে বাধা দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মনসুর রহমানসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মিনু বলেন, সমাবেশে জনসমাগম যেন কম হয়, সে জন্য রাজশাহী-ঢাকা রুটে বাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকায়ও ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ কেন্দ্র করে এমনটি করা হয়েছিল। তারপরও এ মহাসমাবেশ সফল হবে।এদিকে অসুস্থ হয়ে পড়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন রাজশাহীর জনসভায় যাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু।
মন্টু বলেন, ড. কামাল হোসেন রাজশাহীর উদ্দেশে আমাদের সঙ্গে বিমানে ওঠার কথা থাকলেও তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ কারণে রাজশাহীর আজকের জনসভায় যোগ দিতে পারছেন না তিনি।ড. কামাল গত রাতে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন জানিয়ে মন্টু বলেন, ‘তিনি (কামাল) রাজশাহী যেতে না পারলেও ঐক্যফ্রন্টের জনসভার সাফল্য কামনা করেছেন।’জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের এই ধারাবাহিক কর্মসূচিতে এর আগে সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় জনসভা করে। সব কটি সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. কামাল হোসেন। আজকের জনভায়ও তার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল।