ভোটে অনিশ্চিত খালেদা জিয়া
আগামী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি, তা মোটামুটি নিশ্চিত। তবে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরেই থাকতে হতে পারে।সংবিধান অনুযায়ী নৈতিক স্খলনজনিত কারণে কারও দুই বছরের সাজা হলে সাজা ভোগের পাঁচ বছর পর্যন্ত তিনি ভোটে দাঁড়াতে পারেন না। তবে বিচারিক আদালতে সাজা হলেও এর বিরুদ্ধে আপিল করে উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে নির্বাচন করার উদাহরণ আছে।কিন্তু খালেদা জিয়ার পক্ষে এটি সম্ভব নাও হতে পারে। যে দুটি মামলায় সাজা হয়েছে, সেগুলোতে প্রার্থিতা জমা দেয়ার সুযোগ শেষ হওয়ার আগে আপিল করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
গত ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু ওই মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো প্রকাশ হয়নি। আর প্রকাশ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ আছে। তবে রায় দ্রুত প্রকাশ হলে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে হয়তো আপিল করা যাবে।
তবে বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার দণ্ড। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতে দেয়া রায় বাতিলে দলীয় প্রধানের আবেদন নাকচ হয়েছে। উল্টো পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বেড়ে হয়েছে ১০ বছর। এ মামলায়ও তাকে আপিল করতে হবে। ওই রায়ের অনুলিপিও এখনো প্রকাশ হয়নি। ফলে এর বিরুদ্ধে আপিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন কি না, এই বিষয়টি নিশ্চিত নয়। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। মনোনয়নপত্র বৈধ কি না, সেটি যাচাই-বাছাই হবে ২২ নভেম্বর। অর্থাৎ এর আগে আপিল এবং দণ্ড স্থগিত না হলে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হবে কি না, এ নিয়ে আইনি প্রশ্ন আছে।সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল