বুধবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০১৮ ইং ৩০শে কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

আ’লীগের নানক-সাদেক গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২

মনোনয়ন নিতে যাওয়ার সময় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাদেক খানের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।শনিবার সকালে মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ের সামনে এ সংঘর্ষ হয়।নিহতরা হলেন, পথচারী সুজন (১৮) ও আরিফ (১৫)।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর পরিবর্তন ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি বলেন, ‘সকালে জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মো. সাদেক খানের গ্রুপ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে যাচ্ছিল। সে সময় নবোদয় হাউজিংয়ের সামনে উভয়পক্ষ মুখোমুখি হয় এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় নানকের সমর্থকদের বহনকারী একটি পিকআপ দ্রুত ঘোরানোর সময় তার নিচে চাপা পড়ে দু’জন নিহত হন।’জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মো. সাদেক খান

ওসি আরও জানান, নিহত সুজন রাজমিস্ত্রী। আর আরিফ তার সহকারী হিসেবে কাজ করতো। গুরুতর অবস্থায় সুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে আরিফ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পিকআপে করে একদল যুবক নবোদয় হাউজিংয়ের সামনের লোহার গেটের কাছে এলে আরেক দল যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়। পিকআপটি দ্রুত ঘোরাতে গেলে তার নিচে চাপা পড়েন সুজন ও আরিফ।

নিহত আরিফের ভাই আলাউদ্দিন হাসপাতালে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ‘তার ভাই যুবলীগের একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল। তাদের গাড়িতে হামলা হলে, নেমে পালানোর সময় গাড়িতে পিষ্ট হয়।’ঢাকা-১৩ আসনের (মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর আংশিক) বর্তমান এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি এবারও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাদেক খানও এই আসনে দলীয় মনোনয়ন চাইছেন।সংঘর্ষের বিষয়ে সাদেক খান বলেন, ‘ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে, আমি জানি না। তবে আমার সক্রিয় দু’জন মারা গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ নিয়ে ডিসি ও কমিশনারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।’এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘শনিবার আমার কর্মী-সমর্থকদের ঘটনাস্থলে কোনো মিছিল কর্মসূচি ছিল না। ফলে সংঘর্ষের কোনো প্রশ্নই আসে না। ঘটনাটি মূলত সাদেক খানের সমর্থকদের মিছিলে বিশৃঙ্খলা থেকে সৃষ্ট।পুলিশও বলেছে, দুর্ঘনায় মৃত্যুর কারণ রাজনৈতিক কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।’বিব্রতবোধ করে তিনি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরকে ‘ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়ে তা সংশোধনেরও অনুরোধ করেন।