বিয়ের পর শারীরিক সম্পর্ক কি বাধ্যতামূলক?
অনলাইন ডেস্ক: সমাজ বলে, বিয়ে মানে দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের একসঙ্গে থাকার সমাজস্বীকৃত, আইনস্বীকৃত ও রাষ্ট্রসম্মত অনুমতি। দার্শনিকরা বলে, বিয়ে হল দু’টি মানুষের আত্মার মিলন। সেক্ষেত্রে যে কোনও প্রেমই কিন্তু বিয়ে। ‘বিয়ে’ শব্দটির এরকম আরও বিবিধ সংজ্ঞা রয়েছে।
কিন্তু বিয়ের পরে স্বামী এবং স্ত্রী একই বাড়িতে একই ঘরে, একই ছাদের তলায় থাকছেন বলেই কি তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হওয়া বাধ্যতামূলক? মানবিক অর্থে তা একেবারেই নয়। কিন্তু আইনসম্মত বিয়ের সঙ্গে একটি বিষয় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে এবং তা হল- ‘কনজিউমেশন অফ ম্যারেজ’।
নর-নারীর মধ্যে সম্পূর্ণ সঙ্গম অর্থাৎ ‘কনজিউমেশন’-কে আইনের ভাষায় এভাবেই বর্ণনা করা হয়। যদি এই বিষয়টি না ঘটে তবে সেই বিয়েটি আইনসিদ্ধ হলেও তা সম্পূর্ণ নয় আইনের চোখে। তাই কনজিউমেশন না হলে স্বামী বা স্ত্রী যে কেউ বিবাহবিচ্ছেদের জন্য মামলা করতে পারেন এই বিশেষ গ্রাউন্ডে। নন-কনজিউমেশন দু’টি কারণে হতে পারে- (১) প্রাকৃতিক কারণ এবং (২) শারীরিক সম্পর্কে অনিচ্ছা।
এমনটা নয় যে বিয়ের সঙ্গে সঙ্গেই কনজিউমেশন বাধ্যতামূলক। তবে প্রচলিত আচারে এই বিষয়টি বেশ তড়িঘড়ি সেরে ফেলার ইঙ্গিতই রয়েছে। ‘ফুলশয্যা’ আসলে কনজিউমেশন-এর প্রতীক। কনজিউমেশন না হলে সেই বিয়েকে আইন ‘সম্পূর্ণ’ বলে স্বীকার করে না।
কিন্তু কখনওই এটিকে ‘বাধ্যতামূলক’ বলা যায় না। দু’জন মানুষ বিয়ের পরে সারাজীবন কোনও রকম শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াই একসঙ্গে থাকতে পারেন। শুধু যদি তাদের মধ্যে কেউ আইনের দ্বারস্থ হতে চান নন-কনজিউমেশন গ্রাউন্ডে এবং সেটি যদি প্রমাণিত হয় আদালতে, তবে সেই বিয়ে আইনের চোখে ‘অসম্পূর্ণ’ বলে চিহ্নিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।