শুক্রবার, ২৬শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ১১ই কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

সহজে রাজি হন না খালেদা জিয়া!

আর্থাইটিস, ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপসহ নানা রোগে ভুগছেন- তবুও শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সহজে রাজি হন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া! এর জন্য চিকিৎসকদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। অনেকবার কাউন্সিলিং করার পর রাজি হন। বুধবার বেলা ২টা ১৫ মিনিটে বেগম খালেদা জিয়াকে রেডিওলজি বিভাগে নেয়া হয় সিটি স্ক্যান করার জন্য। সেখানে তার ফুসফুসে সিটি স্ক্যান করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেডিকেল বোর্ডের একাধিক সদস্য জানান, আজ বেগম খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়। বাতজনিত গুরুতর সমস্যার প্রভাবে তার ফুসফুসের সমস্যা হচ্ছে বলে তারা মনে করছেন। অথচ এই সিটি স্ক্যান পরীক্ষায় তাকে রাজি করাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গত ৬ অক্টোবর থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এ চিকিৎসাধীন। বিএসএমএমইউ’র ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবদুল জলিল চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে।

চিকিৎসক সূত্র জানায়, বেগম খালেদা জিয়ার বাতজনিত ব্যথা আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। মানসিকভাবেও তিনি ভালো আছেন। তবে একাকী থাকার কারণে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সহজে রাজি হন না। তবে চিকিৎসকরা প্রতিটি পরীক্ষার আগে কী পরীক্ষা করা হবে, এর ফলে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে সে সম্পর্কে কাউন্সিলিং করেন। রোগীর সুচিকিৎসার স্বার্থে চিকিৎসকরা সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসা দিতে চান। প্রতিদিনই হাসপাতাল থেকে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহে আইসিডিডিআরবিতে যে নমুনা পাঠানা হয়েছিল সেই রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। সব রিপোর্ট হাতে পেলে মেডিকেল বোর্ডের সবার মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনে নতুন করে ওষুধপত্র দিয়ে ফলোআপ চিকিৎসা চলবে বলে জানা গেছে।উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়াকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ৬ অক্টোবর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আনা হয়। বর্তমানে তিনি কেবিন ব্লকের ৬১২ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন। সূত্র: জাগো নিউজ