প্রতিদিন মোবাইল লেনদেন ১ হাজার কোটি টাকা
প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এম এফ এস) মাধ্যমে লেনদেন হয় বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।বুধবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে এম আবদুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত জানান, ২০১৫-১৬ অর্থ বছওে বৈদেশিক ঋণ বাবদ এবং তার সুদ বাবদ মোট ১ হাজার ৫০.৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সম পরিমান ৮ হাজার ২২৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। তন্নধ্যে ঋণের আসল বাবদ ৬ হাজার ৬৪৩ কোটি ১৪ লাখ এবং সুদ বাবদ ১ হাজার ৫৮১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
নজরুল ইসলাম বাবুর প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১ হাজার ৯০৫.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়াও ২০১৭ সালে ১৩ হাজার ৫৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৬ সালে ১ হাজার ৬১০.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৫ সালে ১৫ হাজার ৩১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৪ সালে ১৪ হাজার ৯৪২.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৩ সালে ১৩ হাজার ৮৩১.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১২ সালে ১৪ হাজার ১৭৬.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১১ সালে ১২ হাজার ১৬৮.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১০ সালে ১১ হাজার ০৪.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০০৯ সালে ১০ হাজার ৭১৭.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে মুহিত জানান, দেশে মোট আয়কর দাতার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯১ জন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যার ফলে জনগনের মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালে ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে উন্নীত হয়ে ২০১৮ সালে ১৭৫১ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।অর্থমন্ত্রী জানান, দেশে বিদেশী অর্থ সংগ্রহের প্রধান উৎসগুলো হলো- রপ্তানী আয়, প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স, সেবা খাতে আয়, বিনিয়োগ খাতে আয়, বৈদেশিক বিনিয়োগ, বৈদেশিক অনুদান এবং বৈদেশিক ঋণ। উক্ত খাত সমুহ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মোট ৬৬ হাজার ৮৪৯. ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে।