খালেদা জিয়া সিটিস্ক্যান করাতে রাজি হচ্ছিলেন না (ভিডিও)
নিউজ ডেস্ক।। আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগশোকে ভুগছেন তবুও প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে সহজে রাজি হচ্ছিলেন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া! রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং ও প্যাথলজিক্যাল বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজি করাতে চিকিৎসকদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। অনেকবার কাউন্সিলিং করার পর তিনি রাজি হন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেডিকেল বোর্ডের একাধিক সদস্য জানান, আজ (বুধবার) বেগম খালেদা জিয়ার সিটিস্ক্যান করা হয়। বাতজনিত গুরুতর সমস্যার প্রভাবে তার ফুসফুসের সমস্যা হচ্ছে বলে তারা মনে করছেন। অথচ এই সিটিস্ক্যান পরীক্ষায় রাজি করাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গত ৬ অক্টোবর থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন। বিএসএমএমইউ’র ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবদুল জলিল চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে।
চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে বেগম খালেদা জিয়ার বাতজনিত ব্যথা আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। মানসিকভাবেও তিনি ভালো আছেন। তবে একাকী থাকার কারণে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সহজে রাজি হন না।
তবে চিকিৎসকরা প্রতিটি পরীক্ষার আগে কী পরীক্ষা করা হবে, এর ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী হতে পারে সে সম্পর্কে কাউন্সিলিং করেন। রোগীর সুচিকিৎসার স্বার্থে চিকিৎসকরা সবধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসা দিতে চান। প্রতিদিনই হাসপাতাল থেকে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে আইসিডিডিআরবিতে যে নমুনা পাঠানা হয়েছিল সেই রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। সব রিপোর্ট হাতে পেলে মেডিকেল বোর্ডের সবার মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনে নতুন করে ওষুধপত্র দিয়ে ফলোআপ চিকিৎসা চলবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়াকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ৬ অক্টোবর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আনা হয়।
বর্তমানে তিনি কেবিন ব্লকের ৬১২ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন। পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে। উৎস: জাগোনিউজ।