শনিবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০১৮ ইং ২৮শে আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ঘুমানোর আগের যেসব কাজ কখনোই করা উচিত না

ভালো ঘুম ভালো দিনের শুরু করে। শরীর মন সতেজ থাকে। কাজের উদ্যম থাকে দ্বিগুণ। কোনো কাজ করতে গেলে প্রফুল্লতা পাওয়া যায়।

শরীর সুস্থ রাখার জন্যও ভালো ঘুমের দরকার। আর সেই ঘুমকে ভালো রাখার জন্য আমাদের কয়েকটা নিয়ম মেনে চলা দরকার। ঘুমোতে যাওয়ার আগে আমাদের অনেকের অনেক অভ্যাস আছে। তবে তা সব ভালো বা খারাপ নয়। আমাদের জেনে নেওয়া উচিত কখন কোন কাজটি করা দরকার।

ঘুমানোর আগের কিছু কাজ আছে যা কখনোই করা উচিত নয়। এছাড়া ভালো ঘুমের জন্যও কিছু কাজ করা উচিত। আসুন সেগুলো জেনে নিই।

১. ঘুমানোর ঠিক আগে পানি খাবেন না: ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগে পানি খাওয়া উচিত নয়। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করুন। আর তা না হলে ঘুমানোর সময় অস্বস্তি হতে পারে। মাঝরাতে কয়েক বার উঠতে হতে পারে টয়লেট ঘরে যাওয়ার জন্য।

২. ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করবেন না: ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করা ঠিক না। বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে ব্যায়াম সেরে ফেলতে পারেন। ব্যায়াম করার পর কমপক্ষে তিন ঘণ্টা পর ঘুমানো উচিত।

৩. দিনের মাঝামাঝি তন্দ্রান্বিত না হওয়া: আপনার রাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম না হয় তাহলে আপনার দিনের বেলা তন্দ্রা হবে। তাই খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার রাতের বেলা ঘুম যেন পরিপূর্ণ হয়। ঠিক সময় ধরে প্রতিদিন ঘুমাতে যেতে হবে।

৪. ইলেকট্রনিক্সের ডিভাইস দূরে রাখা: ঘুমানোর সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস অর্থাৎ মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এগুলো দূরে সরিয়ে রাখুন। কারণ এই ডিভাইসগুলো কিছুক্ষণ পর পর রেডিয়েশন পাঠায় আর তা শরীরের জন্য খুবই খারাপ। তাই ঘুমানোর পূর্বে এই ডিভাইসগুলো সরিয়ে রাখুন।

৫. বিছানায় শুয়ে না পড়া: অনেকে রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে বই পড়তে পছন্দ করেন। এটা করবেন না। ঘুমানোর আগে বসে বই পড়ে তারপর ঘুমাতে যাবেন।

৬. উজ্জ্বল নম্বরের অ্যালার্ম ঘড়ি না কেনা: সকালে ঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠার জন্য অ্যালার্ম ঘড়ির দরকার আছে। তাই বলে উজ্জ্বল নম্বর ওয়ালা ঘড়ি কিনবেন না। এতে আপনার ঘুমের অসুবিধা হতে পারে।

৭. বিছানা ভালো হতে হবে: আপনি যেখানে ঘুমাবেন সেই ঘুমানোর জায়গা যদি ভালো না হয় তাহলে ঘুমের অসুবিধা হওয়াটা স্বাভাবিক। তাই আরামদায়ক ঘুমের জন্য ভালো বিছানা বা ম্যাট্রেস দরকার।

৮. রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেতে হবে: রাতে ভালো ঘুমের জন্য রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়া উচিত। তা না হলে ঘুমানোর সময় অস্বস্তি হতে পারে। ঠিকমতো ঘুম নাও হতে পারে। তাই রাতের খাবার খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পরে ঘুমান।

৯. পা গরম রাখা: পা ঠান্ডা থাকলে ঘুম আসে না তাই ঘুমানোর সময় পা গরম রাখা উচিত। পা গরম থাকলে ঘুম ভালো হয়।

১০. বেড টাইম রুটিন: সবার একটা বেড টাইম রুটিন থাকা দরকার। যেমন টয়লেটে যাওয়া, দাঁত ব্রাশ করা, ঘুমানোর জন্য বিছানা তৈরি তারপর ঘুমাতে যাওয়া।

১১. কফি খাবেন না: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কফি খাবেন না। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। অপর্যাপ্ত ঘুম হবে।

১২. শোয়ার ধরন হতে হবে আরামদায়ক: রাতে এমনভাবে শুয়ে ঘুমানো উচিত যাতে করে ভালো ঘুম হয়। আপনি যদি ঠিকভাবে শুতেই না পারেন তাহলে ঘুমাবেন কীভাবে। তাই আপনার শোয়ার ধরনের ওপরও ভালো ঘুম নির্ভর করে।

সুস্থ শরীর ও সুস্থ মনের জন্য ভালো ঘুম অবশ্যই দরকার। আর তাই ওপরের নিয়মগুলো মেনে চলুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে আপনি কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন না। তাই পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমান এবং সুস্থ থাকুন।